IPL ২০২৫-এর মেগা অকশন শেষ হয়েছে সোমবার। নিলামের দ্বিতীয় দিনে সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিয়েছিল ১৩ বছরের ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশী। ৩০ লক্ষ টাকা বেশ প্রাইস থাকলেও ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বিনিময় তাকে তুলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। বৈভবকে নিয়ে দিলি ক্যাপিটালস এবং রাজস্থান রয়্যালসের মধ্যে মূলত লড়াই চলতে থাক💦ে, শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে রাহুল দ্রাবিড়ের দল। ছেলের কোটিপতি হওয়ার খবরে স্বভাবতই খুশি বৈভবের পরিবার। তবে লড়াইটা সহজ ছিল না তার জন্য। এই আনন্দের মুহূর্তেই আবেগতাড়িত হয়ে সেই পুরোনো স্মৃতি সবার সামনে তুলে ধরলেন বৈভবের বাবা সঞ্জীব সূর্যবংশী। তিনি জানান, বৈভবের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন🦂 পূরণ করার জন্য বেচে দিয়েছিলেন নিজেদের চাষের জমি।
সঞ্জীব জানান, বিহারের ছোট্ট গ্রাম মতিপুরের কাছে তাঁদের চাষের জমি ছিল, যা তিনি ৩ বছর আগে অর্থাৎ যখন বৈভবের বয়স ১০, তখন তার ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য বিক্রি করে দেওয়া হয়। ছেলের কোটিপতি হওয়ার খবর শুনে PTI-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ও এখন শুধু আমাদের ছে🐟লে নয়, পুরো বিহারের ছেলে।’ বর্তমানে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কা𒈔প খেলার জন্য দুবাইয়ে রয়েছে বৈভব।
পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করতে গিয়ে সঞ্জীব বলেন, ‘আমার ছেলে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সে ৮ বছর বয়সে রাজ্যের হয়ে অন�💜�ূর্ধ্ব ১৬ স্তরে প্রথমবার ট্রায়াল দিয়েছিল। আমি ওকে ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য সমস্তিপুরে দিয়ে আসতাম আবার নিয়ে আসতাম।’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বৈভবের খরচ কিভাবে বহন করা হতো, তখন তিনি বলেন, ‘আমরা ওর জন্য নিজেদের চাষের জমিটুকুও বিক্রি করে দিয়েছিলাম। এখনও আমাদের পরিস্থিতি খুব বেশি কিছু পরিবর্তন হয়নি।’
এর আগে বৈভবের বিরুদ্ধে বয়স ভাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন ওর বয়স সাড়ে ৮ বছর তখন ও প্রথমবার BCCI-এর বোন টেস্টের মুখোমুখি হয়েছিল। সে ইতিমধ্যেই ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে খেলছে। আমরা কাউকে ভয় পাই না। সে আবার নিজের বয়সের পরীক্ষা দি🌸তে রাজি।’
সঞ্জীব জানান, বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সব সময় বৈভবের প⛦াশে থেকেছেন। তিনি বলেন, ‘রাকেশ জির (বিহার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশ🌜নের সভাপতি) আশীর্বাদ সবসময় ওর উপর ছিল।’ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ছেলের খেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজস্থান রয়্যালস ওকে নাগপুরে ট্রায়ালের জন্য ডেকেছিল। বিক্রম রাঠোর (ব্যাটিং কোচ) তাকে ম্যাচ পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করার সুযোগ দিয়েছিল। ও এক ওভারে ১৭ রান করেছিল। আমার ছেলে ট্রায়ালে মোট ৮টি ছয় মারে।' এতো কম বয়সে কোটি টাকা দিয়ে কী করবেন বৈভব? এই বিষয়ে তাঁর পিতা বলেন, ‘ও শুধু ক্রিকেট খেলতে চায়, আর কিছু না। কিছু বছর আগে ও শুধু ডোরেমন দেখত, এখন আর তা করে না।’