শহর♑ থেকে ৬২ কিমি দূরে শিবরিনারায়ণ সড়কে জাঞ্জগীর-চাম্পা জেলার খারৌদ নগর পঞ্চায়𝓡েত। এখানে লক্ষ্মণেশ্বর মহাদেব। এই শহরকে ছত্তিশগড়ের কাশী বলা হয়। এই মন্দিরটি ত্রেতাযুগে ভগবান রামের সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিশ্বাস করা হয় এখানে ভগবান রাম খর ও দুষণ নামক অসুরদের বধ করেছিলেন। লক্ষ্মণ প্রতিষ্ঠিত এই শিবলিঙ্গে 💖এক লক্ষ গর্ত রয়েছে। শিবলিঙ্গ কালো ꦆপাথর দিয়ে তৈরি। এর চারপাশে মার্বেল দিয়ে তৈরি একটি সাপ মোড়ানো। মন্দিরটি সাদা রঙের যা মাটির উপরে নির্মিত। শ্রাবণ মাসে বিপুল সংখ্যক ভক্ত জলাভিষেক করতে এখানে পৌঁছান।
মন্দিরের ইতিহাস
এই শিবলিঙ্গ সম্পর্কে বলা হয় যে এটি ছত্তিশগড়ের পাঁচটি চারুকলা কেন্দ্রের একটি এবং মোক্ষ পতি নগর হিসাবে বিবেচিত হয়। মন্দিরে🥀র নির্মাণকাল অষ্টম শতাব্দীতে, যা ইন্দ্রপাল এবং ঈশান দেব নামে শাসকদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। এগুলো রতনপুরের রাজারা সংস্কার করেছেন। মন্দিরের বাম অংশে একটি শিলালিপি রয়েছে।
মন্দিরের বিশেষত্ব
মন্দিরে এক লাখ চাল, যাকে পাশার চাল বলা হয়, গণনা করে নিবেদন করা হয়। ভোলেনাথের উদ্দেশ্যে সাদা পদ্ম সহ লক্ষ্মণ এর নামে নীল পদ্ম নিবেদন করলে সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। মহাশিবরাত্রিতে এখানে মেলা বসে।🌼 শুধু খারউদ নগর নয়, সারা ভারত থেকে মানুষ বেড়াতে আসে এখানে। এখানে এসে এক অন্যরকম শান্তি ও ভক্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুভূত হཧয়।
ত্রেতাযুগে, আরাধ্য ভগবান শ্রী হরি বিষ্ণুর অবতার ভগবান শ্রী রাম অনেক জায়গায় ভগবান শিবের পুজো করেছিলেন। এনারা জ্যোতির্ল⛦িঙ্গের সমান গৌরবের বলে বিবেচিত হয়। লক্ষ্মণেশ্বর মহাদেব তাদের একজন। এখানে রয়েছে ত্রিবেণী সঙ্গম, যাকে ছত্তিশগড়ের প্রয়াগরাজ বলা হয়।
এখানে শিবের সঙ্গে রাম-লক্ষ্মণ এরও পুজো করা হয়। ভগবান শ্রীরাম মাতা শবরীর কুটিরে গিয়ে তাকে আশীর্বাদ করলেন। মাতা শবরি ভগবান শ্রী🍒 রামকে বেরি খাওয়ান। সেই পবিত্র শহর শিবরিনারায়ণ ও খারৌদ নগরের সংলগ্ন, যা ছত্তিশগড়ের প্রয়াগরাজ নামে বিখ্যাত।