প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে বিশ্বকর্মা পূজা করা🤪র নিয়ম।&nb☂sp;
বাঙালিরা তো বটেই দেশের নানা প্রান্তে নানা নামে পুজো করা হয় বিশ্বকর্মার। শনিবার সকাল ০৭.৩৯ থেকে ০৯.১১ পর্যন্ত রয়েছে এই পুজোর শুভ যোগ। এর পরে, দ্বিতীয় শুভ সময় দুপুর ০১.৪৮ থেকে ০৩.২০ পর্যন্ত। শুভ সময় দুপুর 🔴০৩.২০ থেকে বিকেল ০৪:৫২ পর্যন্ত চলবে।
কিন্তু কে ছিলেন এই বিশ্বকর্মা? কী বলছে পুরাণ? বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। তবে অনেকেই মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে তিনি এক নন, অনেকে। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথ🌳ায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধཧি।
কী বলছে বিশ্বকর্মা পুরাণ: বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে আদি নারায়ণ প্রথমে ব্রহ্মা এবং তারপর বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। ভগবান বি♌শ্বকর্মার জন্মের সঙ্গে দে♉বতা এবং অসুরদের মধ্যে হওয়া সমুদ্র মন্থনেরও সম্পর্ক রয়েছে।
কী বলছে বরাহ পুরাণ: বরাহ পু꧑রাণ অনুসারে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন।
বিশ্বকর্মার কাহিনি: ধর্মগ্রন্থে ভগবান বিশ্বকর্মার বর্ণনা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বিশ্বকর্মা হল এক ধরনের পদবি এবং উপাধি, 🌄যাকে বলা হত কারুকার্যের সর্বোত্তম জ্ঞানের অধিকারি। বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, তারপর ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা, অঙ্গিরাবংশী, তারপর সুধন্ব বিশ্বকর্মা। এক সময়ে শুক্রাচার্যের পৌত্র ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।
বিশ্বকর্মার সৃষ্টি: বিশ্বকর্মা মহর্ষি দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য একটি বজ্র তৈরি করেছিলেন। প্রাচীনকালে সমস্ত বিখ্যাত শহর ও রাজধানী তিনি তৈ𒉰রি করেছিলেন বলে মনে করা হয়। ত্যযুগের স্বর্গ, ত্রেতাযুগের ল♔ঙ্কা, দ্বাপরের দ্বারকা এবং কলিযুগের হস্তিনাপুর।বিশ্বকর্মা মহাদেবের ত্রিশূল, শ্রী হরির সুদর্শন চক্র, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন।