আজই রাম মন্দিরের ভূমি পুজো ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই উপলক্ষে অযোধ্যার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কিছু রোমাঞ্চক তথ্য চর্চা প্রয়োজন।রামের জন্মভূমি অযোধ্যা, সপ্তপুরীর মধ্যে অন্যতম। অযোধ্যা ছাড়া, মথুরা, মায়া (হরিদ্বার), কাশী, কাঞ্চী, অবন্তিকা (উজ্জয়িনী) ও দ্বারকা সপ্তপুরিতে সামিল।ধর্মীয় পুরাণ অনুযায়ী অযোধ্যা বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের ওপর অবস্থিত। স্কন্ধ পুরাণে বলা হয়েছে, অযোধ্যা ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শঙ্করের পবিত্র স্থান।ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী মনু, দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা ও মহর্ষি বশিষ্ঠকে নিজের রাম অবতারের জন্য ভূমি চয়নের জন্য পাঠান বিষ্ণু। সরযূ নদীর তীরে অযোধ্যাকে নির্বাচন করেন মহর্ষি বশিষ্ঠ। বিশ্বকর্মা এই নগরের নির্মাণ করেন।ধর্মীয় পুরাণ অনুযায়ী, সূর্য পুত্র বৈবস্বত মনু মহারাজ অযোধ্যা স্থাপন করেন। দশরথ ছিলেন অযোধ্যার ৬৩তম শাসক। প্রাচীন ধারণা অনুযায়ী, অযোধ্যা রঘুবংশীয় রাজাদের পুরনো রাজধানী ছিল। সে সময় অযোধ্যার ক্ষেত্রফল ছিল ৯৬ বর্গ মাইল।পুরাণ অনুযায়ী, রাম নিজের ধামে যাওয়ার পরে অযোধ্যা সুনসান হয়ে গিয়েছিল। প্রচলিত আছে যে, রামের সঙ্গে অযোধ্যার কীট-পতঙ্গও রামের ধামে প্রস্থান করেছিল। এর পর রামের পুত্র কুশ ফের অযোধ্যা নগরীতে বসতি গড়ে তোলেন। সূর্যবংশীয়দের পরবর্তী ৪৪ পুরুষ পর্যন্ত অযোধ্যার অস্তিত্ব ছিল। এমনও মনে করা হয় যে, মহাভারতের যুদ্ধের পরে একবার ফের অযোধ্যা জনবসতিশূন্য হয়ে যায়।মধ্যযুগে মগধের মৌর্য থেকে শুরু করে গুপ্ত বংশ ও কণৌজের শাসকদের অধীনে ছিল অযোধ্যা। এখানে মাহমুদ ঘজনির ভাগ্নে সৈয়দ সালার তুর্ক শাসন স্থাপিত করেন। ১৫২৮ সালে বাবরের সেনাপতি অযোধ্যায় আক্রমণ করেন ও বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন।