ধর্মীয় মান্যতা অনুসারে আমাদের ধর্মে পিতৃপুরুষের বিশেষ মান্যতা রয়েছে। মৃত্যুর পর আমাদের পূর্বপুরুষদের পিতৃ দেবতা বলা হয়ে থাকে। যদি আমাদের পূর্বপুরুষরা খুশি থাকে তജাহলে আমরা🌠 আমাদের জীবনের অনেক বাধাই খুব সহজে অতিক্রম করতে পারি।
আজ থেকে শুরু হয়েছে পিতৃপক্ষ। এই সময় বিশেষ কিছু উপায়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের পিতৃ পুরুষকে খুশি করতে পারি। যার দ্বারা আমাদের জন্ম কুণ্ডলীতে পিতৃ দোষের থেকেও আমরা মুওক্তি পেতে পারি।
কিছু জিনিস দেখে বোঝা যায় যে আমাদের পিতৃপুরুষরা ಞআমাদের উপর খুশি নন। আগে আমাদের সেই লক্ষণ গুলি জেনে নেওয়া উচিত।
কাজে বাধা
যখনই বাড়িতে কোন শুভ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হচ্ছে⭕ বা অন্য কোন শুভ অনুষ্ঠান হতে চলেছে তখনই🌼 যদি কোন বাধা আসে তাহলে বুঝতে হবে যে এটা পিতৃ দোষের লক্ষণ।
ঝগড়া অশান্তি হওয়া
বাড়িতে যদি নিত্যদিন ঝগড়া অশান্তি হতে থাꩲকে, খাওয়ার সময় বা অন্য🙈 কোন সময় যদি কলহের পরিবেশ থাকে, বাড়িতে তাহলে বুঝতে হবে যে এটা পিতৃ দোষের লক্ষণ । তার জন্যই বাড়ির মানুষেরা খুব একটা সুখী নয়।
সন্তান-সুখে বাঁধা
যদি বাড়িতে নতুন সদস্যের আগমনে কোন সমস্যা হয় অর্থাৎ বিবাহাদি হওয়ার পরও সন্তান আসছে না, এরকম পরিস্থিতিতে অনেক সময় দেখা যায় বাড়িতে পি൩তৃ দোষ থাকার জন্য অথবা জন্ম কুন্ডলীতে পিতৃ দোষ হওয়ার জন্য সন্তানসুখে বাধা আসছে।
বিবাহে বাধা
অনেক সময় দেখা যায় ভালো সম্বন্ধ আসার পরও বারবার সম্বন্ধে ভেঙে যাচ্ছে। বিয়ে হতে দেরি হচ্ছে, বাড়িতে বিবাহযোগ্য কন্যা বা পুত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের বিবাহতে✱ বারবার বাধা আসছে। মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান আটকে যাচ্ছে। সে 🍨ক্ষেত্রে বুঝতে হবে বাড়িতে অথবা জন্ম কুণ্ডলীতে পিতৃ দোষ রয়েছে।
বাড়িতে যদি হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, বাড়ির বা পরিবারের সদস্যরা যদি হঠাৎ কোনো বিরাট বড় ক্ষতির সম্মু💛খীন হয় বা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন বা দুর্ঘটনা জনিত কোন ঘটনা ঘটে🦂 তাহলেও বুঝতে হবে যে বাড়িতে পিতৃ দোষ বর্তমান।
পিতৃ দোষ থেকে মুক্তির উপায়
বাড়িতে বা কুণ্ডলী তে পিতৃ দোষ থাকলেও সেই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তার জন্য পূর্বপুরুষদের খুশি করতে হবে। এখন পিতৃপক্ষ শুরু হয়েছে। এই ১৫ দিন পিতৃপক্ষ থাকবে। অর্থাৎ মহালয়ার ℱদিন যে অমাবস্যা পড়বে সেই দিন অবধি থাকবে পিতৃপক্ষ । এই সময় বিশেষ কিছু উপায় অবলম্বন করে অবশ্যই পিতৃ দোষ থেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚকে মানুষ মুক্তি পেতে পারে।
প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমায় যদ𓃲ি মন্দিরের পুরোহিত কে পায়েস দেওয়া হয়। তাহলে পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং কুন্ডলীতে রাহুকেতুর অবস্থান মজবুত ও শুভ হ﷽য়।
যদি কেউ একান্তই পায়েস বানিয়ে নিয়ে যেতে না পারেন তাহলে দুধ💝 চিনি এবং পায়েসের চাল পুরোহিতকে পূর্ণিমা এবং অমাবস্যা তিথিতে প্রতি মাসে দান করার চেষ্টা করুন। এটি পরীক্ষিত উপায় এবং এর দ্বারা সত্যিই কুন্ডলীতে রাহুকেতুর অবস্থানে কোন দোষ থাকলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পিতৃ দোষ জনিত ওসমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই উপায় দ্বারা।
যদি প্রতি অমাবস্যা এবং পূর্ণিমায় সম্ভব না হয় তাহলে এই যে পিতৃপক্ষ চলছে এই ১৫ দিনের প্রতিদিন মন্দিরে পুরোহিত কে চাল চ💟িনি দুধ অথবা পায়েস বানিয়ে দান করার চেষ্টা করুন। তাহলে অবশ্যই পিতৃরা খুশি হবেন এব😼ং আপনি পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি পাবেন।
নিয়মিত কাককে খাবার দেওয়ার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে এই ১৫ দিন কাককে রুটি বা অন্য কোন খাবার দেয়🅰ার চেষ্টা করুন।
এই ১৫ দিন অর্থা💟ৎ পিতৃপক্ষে যদি নিয়মিত গরুকে খা🥃বার খাওয়ান তাহলেও পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এই ১৫ দিন যদি পূর্বপুরুষদের জন্য তর্পণ করেন , বিশেষ করে মহালয়ের অমাবস্যার দিন য𝄹দি পিতৃ পুরুষের জন্য তর্প🐲ণ করেন তাহলেও পিতৃ দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
(উপরিক্ত তথ্য ধর্মীয় মান্যতার উপর আধারিত।)