আর কিছুদিন বাদেই বিশ্বকর্মা পুজো। তরুণ বিশ্বকর্মাই আমাদের ♒কাছে নিয়ে আসেন দুর্গাপুজোর আমেজ। এই পুজো এল মানে আর দেরি নেই দুর্গাপুজোর। বিশ্বকর্মা মানেই চার হাতের এক তরুণ দেবতা। যাকে দেখলে পছন্দ না হয়ে উপায় নেই। তার হাতে থাকে ছেনি, হাতুড়ি, ঘুড়ি ও দাড়িপাল্লা। এই দাড়িপাল্লা যথাক্রমে জ্ঞান ও কর্মে꧙র প্রতীক। যার মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করাই জীবনের লক্ষ্য।
(আরও পড়ুন: বেলুড়ের দুর্গাপুজো কবে কখ🍬🔥ন শুরু? প্রকাশিত হল পুজোর নির্ঘণ্ট)
তবে এই বিশ্বকর্মার চেহারা কিন্তু একেবারেই হাল আমলের। সেকালের কলকাতায় যে বিশ্বকর্মা পূজিত হতেন, তিনি ছিলেন অন্যরকম। এখনকার মতো স্লিম ফিগারের মূর্তির আদলে গড়া হত না তখন। বরং একটু স্থুল ছিল൲ বিশ্বকর্মার চ𝔍েহারা। তাছাড়াও, দুই পাশে দুই পুত্রসন্তানও থাকত। ঠিক যেমন এক সময় লক্ষ্মীর দুই পাশে দেখা যেত জয়া বিজয়াকে। মা কালীর দুই পাশে স্থান করে নেন জয়া ও বিজয়া। ঠিক তেমনই বিশ্বকর্মার দুই পাশে থাকতেন তার দুই পুত্র নল ও নীল।
(আরও পড়ুন: ইলিশ 🔥থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি! ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে আর কী কী খাওয়ালেন হাসিনা)
প্রসঙ্গত, রামায়ণে এই দুই পুত্রের উল্লেখܫ পাওয়া যায়। দুজনেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন বানরের বেশে। ভগবান রামচন্দ্রকে সীতা উদ্ধারের কাজে তাঁরা হাত লাগান। রামেশ্বরম থেকে লঙ্কার মান্নার পর্যন্ত দীর্ঘ সেতু নির্মাণে বড় ভূমিকা ছিল তাঁদের। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকর্মার পুত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল পৃথিবীতে। বর্তমানে এই দীর্ঘ রাম সেতু ‘নল সেতু’ নামেই পরিচিত। বিশ্বকর্মার পুত্র নলই এই দীর্ঘ সেতুর পরিকল্পনা করেছিলেন। সঙ্গ দিয়েছিলেন আরেক পুত্রসন্তান নীলও। তাঁর উল্লেখ মেলে রামায়ণের পাতায়।
বলে রাখা ভালো, রাক্ষসদের মধ্যে ময়দানব পারদর্শী ছিলেন স্থাপত্য নির্মাণে। ময়দানবের নির্মিত স্থাপত্য রীতিমতো মনোহর দেখতে হত। মহাভারতে যুধিষ্ঠিরের রাজপ্রাসাদ ইন্দ্রপ্রস্থ সভাগৃহের নির্মাতা ছিলেন তিনি। ঠিক তেমনই বানরদের মধ্যে বিখ্যাত স্থপতি ছিলেন নল ও নীল। কিন্তু কীভাবে জন্ম হল এই দুজনের? পুরাণ🐽ের কাহিনি থেকে জানা যায়, এক বানরীর রূপ ও যৌবন দেখে মত্ত হয়ে পড়েছিলেন নল ও নীল। সেই বানরীর সঙ্গে মিলনের ফলেই জন্ম নেয় দুই পুত্রসন্তান। একজনের নাম রাখা হয় নল। অন্যজনের নামকরণ হয় নীল। বানর হয়ে জন্মালেও পিতার গুণ সঞ্চারিত হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। পরে যা রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে ওঠে।