হিন্দু ধর্মে জিতিয়া ব্রতের অনেক গুরুত্ব রয়♍েছে। সকল ব্রতর মধ্যে এটিকে সবচেয়ে কঠিন ব্রত বলে মনে করা হয়। এই ব্রত নির্জলা হয়। এমনকী ব্রত রত অবস্ꦓথায় দাঁত মাজা বা স্নান করাও নিষিদ্ধ।
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জিতিয়া উপবাস পালন করা হয়। এ বছর জিতিয়া ব্রতের൩ স্নান হবে ৫ অক্টোবর, উপবাস হবে ৬ অক্টোবর সারাদিন এবং উপবাস ভঙ্গ হবে ৭ অক্টোবর সকালে। মহিলারা তাদের সন্তানদের দীর্ঘায়ু, তাদের বংশের বৃদ্ধি, উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য জিতিয়া ব্রতর উপবাস পালন করে।
জিতিয়া ব্রতের উপাদানে অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি হল জিউতীয়া, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জিউটিয়া হল একটি সোনার 𝔍বা রৌপ্য লকেটের মতো, যা মহ💖িলারা জিউটিয়া পুজোর সময় গলায় পরেন।
জিউটিয়ার লকেট কেমন?
জিতিয়া উপবাসের সময় জিউটিয়া লকেটের গুরু🌳ত্ব রয়েছে। জিউতিয়া লকেটে প্রতিকৃতি থাকে জিমুতবাহনের। মহিলারা এই লকেটটি তাদের গলায় লাল বা হলুদ সুতোয় বেঁধে পরে। এর মধ্যে তিনটি গিঁট রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, যে মায়ের যে কটি সন্তান আছে তাদের জিউটিয়া লকেটে একই সংখ্যক জিমুনবাহ🍰নের ছবি রয়েছে। উপবাসের দিন এটি প্রথমে চিলো মাতাকে নিবেদন করা হয় এবং তারপরের দিন এটি প্রথমে শিশুকে পরানো হয়, মা তার গলায় পরিয়ে দেয়।
জীবিতপুত্রিকা ব্রত পুজো বিধি
জীবিতপুত্রিকা উপবাসের পরের দিন, ভক্ত স্নান করে কুশের তৈরি জিমুতবাহন দেবতার মূর্তির সামনে ধূপ, প্রদীপ, চাল এবং ফুল নিবেদন করে এবং তꦬারপর রীতি অনুসারে পুজো করে। এতে গোবর ও মাটি দিয়ে ঈগল ও সিংহের মূর্তি তৈরি করা হয়। পুজো করার সময় তারা তাদের কপালে সিঁদুর লাগান এবং পুজোর সময় জীবিতপুত্রিকা উপবাসের ব্রত কথা শোনেন। পারণের দিনে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করা হয়, বিশেষ ক༒রে মাদুয়ার রুটি, ননি শাক, ভাত ইত্যাদি।