উপ নির্বাচনের আগে রাজ্যে আবাস যোজনা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠছে। এরই মাঝে আবাস-বিক্ষোভ ঠেকাতে আসরে নামলেন রাজ্যꦉের মুখ্য সচিব। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জানিয়েছে, যে যাতে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে না হয় সেকারণে সেই টাকা রাজ্য সরকার দেবে। এক্ষেত্রে আবাস নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনাকে দায়ী করেছে মমতা সরকার। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এদিন জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, তালিকা থেকে যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁদের ♏ক্ষেত্রে বিষয়টি পুনরায় মূল্যায়নের কথা।
এ দিকে, নবান্নেরতরফে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনা গ্রামীণ, যেখানে ষাট টাকা প্রতি ১০০ টাকা দেওয়ার কথা কেন্দ্রের, সেখানে ৪০ টাকা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের। সে টাকা না পেলেও, প্রতিশ্রুতি প্রদত্ত, মানুষদের জন্য যাতে বাড়ি হয়, রাজ্যই দেবে ১০০ তে ১০০ টাকা।’ তিনি বলেন,' কেন্দ্রীয় সরকার এই টাকা না দিলেও নথিভূক্ত ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই মানুষগুলির জন্য রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, রাজ্যের নিজের টাকায় অপেক্ষমান এই গরিব মানুষগুলির বাড়ি করার সহায়তা রাজ্যই দেবে। সেই জন্যই সেই সম্ভাব্য উপভোক্তাদের হালহকিকতের রি সার্ভে।' আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,' ইতিমধ্যেই কেউ পাকা বাড়ি করে ফেলেছেন কি না, কেউ অন্যত্র চলে গিয়েছেন কি না, এসব দেখতেই রিসার্ভে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নামও তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। এটাও রিসার্ভের একটি লক্ষ্য। উপযুক্ত সকল তালকাভূক্ত প্রাপকই পর্যায়ক্রমে পাকা বাড়ির ꦬসহায়তা পাবেন। মাথা পিছু ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।'
এদিকে, আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না পাওয়ায় নিজস্ব তহবিল থেকে বাংলার মানুষকে আবার যোজনার টাকা রাজ্য দেবে বলে জানিয়েছে। সেই মতো প্রকল্পের সমীক্ষাও শুরু হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু সদ্য এই সমীক্ষার শুরুতেই ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে এক দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে। উত্ত ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় সদ্য তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন, প্রকৃত দাবিদাররা বঞ্চিত হচ্ছেন। সদ্য মঙ্গলবার, বেড়াচাঁপা ২ পঞ্চায়েতের পশ্চিম যাদবপুর গ্রামে আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখ🎉ান।