রামনগরী অযোধ্যায় দিওয়ালি উপলক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে দীপোৎসব। প্রতিবারের মতো এবারেও সরযূ তীর সেজে আলোর রোশনাইতে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই আয়োজিত হয়েছিল রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠান। তারপর এই দীপাবলি আয়োজন ঘিরে সকলের নজর রয়েছে। এদিকে, যোগীগড় উত্তর প্রদেশের অযোধ্যার সাংসদ তথা সমাজবাদী পার্টি নেতা অবধেশ প্রসাদের দাবি,🌳 তাঁকে এই দীপোৎসব অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করা হয়নি।
দীপোৎসব নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সমাজবাদী পার্টি নেতা তথা অযোধ্যার সাংসদ অবধেশ প্রসাদ বলেন, ‘বিজেপি উৎসব নিয়ে রাজনীতি করছে।’ তিনি এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দীপাবলি উপলক্ষ্যে আমি অযোধ্যার সকল বাসিন্দাকে আমার শুভেচ্ছা জান🎃াই। এখান থেকে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনাকে আমি আমার সৌভাগ্য মনে করি।’ অবধেশ প্রসাদ বলেন,' বিজেপি আমাদের উৎসবেও রাজনীতি করছে। আশা করি এটি হবে ভ্রাতৃত্বের উৎসব। বিজেপি এই উৎসব নিয়ে রাজনীতি করছে এবং মানুষকে বিভক্ত করছে। আমি দীপোৎসবের পাস বা আমন্ত্রণ পাইনি।' এরই সঙ্গে অযোধ্যার সাংসদের ক্ষোভ, 'এই উৎসব কোন এক সম্প্রদায়ের নয়। আমি আজ অযোধ্যায় যাব। আমি দীপোৎসবের জন্য কোনো পাস বা আমন্ত্রণ পাইনি।'
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত অযোধ্যা এলাকা। এই এলাকায় চলতি বছরের শুরুতেই উদ্বোꦏধন হয় রাম মন্দিরের। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার, ও উত্তর প্রদেশের রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকাকালীন এই রামমন্দির উদ্বোধন ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে একটি রাজনৈতিক দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। অনেকেই মনে করেছিলেন, রামমন্দির ঘিরে বিজেপি যে হিন্দুত্ব তাস খেলেছিল, তাতে উত্তর প্রদেশে তাদের𝔉 ভোটব্যাঙ্কের পিচ পোক্ত হবে। তবে লোকসভা ভোট ২০২৪ এর সময় কার্যত ফলাফলের দিন দেখা যায়, উত্তরপ্রদেশে কার্যত বিজেপি ধরাশায়ী। এমনকি অযোধ্যা যে কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই ফৈজাবাদ থেকেও বিজেপি পরাজিত হয়। সেখানে সমাজবাদী পার্টির নেতা অবধেশ প্রসাদ হন সাংসদ। তিনিই অভিযোগ তুলেছেন যে তাঁকে অযোধ্যার দীপোৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, অযোধ্যার এই রাম মন্দির ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের এক ঐতহাসিক নির্দেশের পর উদ্বোধন হয়।