পেট্রাপোলে এদিন নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও কার্গো গেট ‘মৈত্রী দ্বার’এর উদ্বোধন কဣরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই ভবন ও কার্গো গেট উদ্বোধনের ফলে যাত্রী সুবিধা ও বাণিজ্যিক স্বার্থেও সুবিধা হবে। এদিকে, এই গেট উদ্বোধনের দিনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক এক্স পোস্টে মনে করিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের ‘সুবিধা ভেহিক্যাল ফেসিলিয়েশন সিস্টেম’র কথা। আন্তর্জাতিক স্তরে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত এই প্রকল্প কী কী সুবিধা দিয়েছে তার কথা নিজের এক পোস্টে স্মরণ করান মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন,'পেট্রাপোল সীমান্তের চেকপোস্টে আজ কিছুটা শোরগোল দেখা গেলেও বাস্তবতা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সুবিধা ভেহিক্যাল ফেসিলিয়েশন সিস্টেম ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্যকে পাꦏল্টে দিয়েছে। ৪৫ দিনের যে দেরি হত, তার দিন সংখ্যা এখন শূন্য এবং এর উপকার পাচ্ছে ৮ লাখ গাড়ি।' এই প্রকল্প সম্পর্কে জানাতে গিয়ে দিদি লে♈খেন,'ই গর্ভন্যান্সে অনন্য কাজের জন্য (এই প্রকল্প) ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা মান্যতা পেয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ও স্টেকহোল্ডাররা আমাদের বাংলার এই উদ্যোগকে দ্বিপাক্ষিক দেশের বাণিজ্যে সত্যিকারের গেম চেঞ্জার হিসাবে প্রশংসা করেছে।' মমতার বার্তা,'অতিরিক্তভাবে, পেট্রাপোলের যাত্রী টার্মিনালে যাত্রী সুবিধা উদ্যোগ প্রায় ১ লাখ যাত্রীর প্রবেশকে সুগম করেছে, দীর্ঘ সারি সামাল দিয়েছে এবং তাদের অভিজ্ঞতা বাড়িয়েছে।'
এদিকে, পেট্রোপোল সীমান্তে ওই উদ্বোধনী কর্মসূচিতে এসে অমিত শাহ বলেন, যখনই এই রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি আসবে, তখনই বোমার জায়গায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যাবে। তিনি এদিনের মঞ্চ থেকে ২০২৬ সালের ভোট ঘিরে রণহুঙ্কার দিতে থাকেন। তিনি অভিযোগ তোলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সমর্থিত অনুপ্রবেশ চলছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে। তাঁর আশা, ২০২𒁃৬ সালে বিজেপি দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যꦗাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভোটে জয় লাভ করবে।
উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের পর এই প্রথম বাংলায় এলেন অমিত শাহ। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে🌌 আরজি কর কাণ্ড ঘিরে বিক্ষোভ প্রতিবাদ দেখা যায়। মূলত তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ছিল। এদিকে, সামনেই রয়েছে উপনির্বাচন। রাজ্যে বহু জায়গায় উপনির্বাচন রয়েছে নভেম্বর মাসে। তার আগে, অমিত শাহ বলেন,' বাংলায় রাজ্য সমর্থিত অনুপ্রবেশ চলছে। এই পরিস্থিতি রোখার কমাত্র উপায় ২০২৬ সালে বিজিকে জেতানো। রবীন্দ্রসঙ্গীতের জায়গায় বাংলা এখন বোমার আওয়াজ শোনে।'