খাসির মাংসর দাম শুনলেই এখন এড়িয়ে যান অনেকে। পোলট্রির মাংস কোনওরকমে কেনা যায়। কিন্তু খাসির মাংসের দাম তো একেবারে আকাশছোঁয়া। তবে ভাগ্যের জোর থাকল ৫ টাকাতেও মিলতে পারে খাসির মাং🦹স। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে তেমনই ধমাকার আয়োজন করা হয়েছে।
আর এই ঘোষণা শুনে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। আসলে লটারিতে গাড়ি, টাকার প্রলোভন থাকে। কিন্তু তা বলে একেবারে খাসির মাংস। আর ♛সেটাও এক দু কেজি নয়। একেবারে দশ কেজি খাসির মাংস।
দীপাবলি খাই খাই ধমাকা। ভুরিভোজ সমিতির উদ্যোগে এই খাই খাই ধমাকার আয়োজন। কার্যত এটাও সেই লটারিরই নামান্তর।তবে ভাবনাটা একেবারে অন🎀্যরকম। পুরস্কার বলতে খাসির মাংস। যে মাংসর দিকে ত🥂াকিয়ে থাকেন অনেকেই কিন্তু কেনা সাধ্য থাকে না।
লটারির মতোই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। দাম পাঁচ টাকা। একেবারে হু হু করে বিক্রি হচ্ছে। প্রথম পুরস্কার ১০ কেজি খাসির মাংস। মাত্র একজনই এই অফারটা পাবেন। দ্বিতীয় পুরস্কার পাঁচ কেজি খাসির মাংস। এক্ষেত্রেও একজনই এই পুরস্কার পাবেন। তৃতীয় পুরস্কার পাবেন দুজন । এখানে দু🅰 কেজি করে খাসির মাংস দেওয়া হবে। আর এরপরের পুরস্কার গুলো হল ডিম। তাই বা খারাপ কী! এখন তো পোলট্রিম ডিমই ১৬টাকা ডজন। সেক্ষেত্রে যদি পুরস্কার হিসাবে ডিম পাওয়া যায় সেটাই বা মন্দ কী।
ভুর🅰িভোজ সমিতি। আসলে সংস্থার নামেই কেমন যেন জিভে 🐓জল আসে। তাদের পুরস্কারের কথা শুনে তো একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এমন সুযোগ কি আর হাতছাড়া করা যায়! সেকারণেই স্থানীয়রা একেবারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। যদি একবার ভাগ্য খুলে যায় তাহলেই বিরাট লাভ।
একেবারে জোরকদমে টিকিট বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৫ হাজার টিকিট করেছেন উদ্যোক্তারা। একেবারে হটকেকের মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। এই বিভিন্ন পেশার মানুষরা রয়েছেন। শিক্ষক, অটো চালক, ব্যবসায়ী থেকে, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র অনেকেই রয়েছেন এই ভুরিভোজ সমিতিতে। তাদের মাথাতেই এসেছে এই অভিনব ভাবনা। একেবারে হিসেব নিকেশ করেই ন♚েমেছে সমিতি। টিকিট বিক্রি করে লাভ হয়তো ক🎃িছুটা হলেও হতে পারে। তবে লাভ একটাই সেটা হল নির্ভেজাল আনন্দ।এটা তো কোটি টাকাতেও মেলে না। নিজেদের আনন্দের পাশাপাশি সবার মধ্যে সেই আনন্দ বিলিয়ে দেওয়ার জন্য় এই অভিনব উদ্যোগ।