ক্লাসে যাওয়া নিয়ে বচসা। তার জেরে ২ শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতি মারামারিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল স্কুল চত্বর। মেরে প্রধান শিক্ষকের আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। শনিবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলো পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ হাই স্কুল। আক্রান্ত প্রধান শিক্ষকের নাম প্রতিম চট্টোপাধ্যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত সহ শিক্ষক বিজয় দাসকেܫ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।♓ শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছেন অভিভাবকরা।
আরও পড়ুন: ইউনিট টেস্ট নিয়ে বওচসা, গৃহ শিক্ষক ও অভিভবকদের স🔴ঙ্গে স্কুল শিক্ষকদের হাতাহাতি
জানা যাচ্ছে, বিজয় দাসের স্ত্রী পাপিয়া দাসও ওই স্কুলে পড়ান। তবে অভিযোগ পাপিয়া দাস ক্লাসে যাননি। এই নিয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে কড়া ভাষায় কথা বলেন। তখন বিষয়টি জানতে পেরে♐ বিজয় দাস গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে দেন। তখন তাদের মধ্যে শুরু হয় তাদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। এরপর বচসা গড়ায় হাতাহাতিত🉐ে। সহ শিক্ষকের মারে রক্তাক্ত হয়ে ওঠেন প্রধান শিক্ষক। তবে পাপিয়া এবং বিজয়ের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক প্রত্যেক শিক্ষকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেন। যেখানে সেখানে অপমান করেন। ক্লাসে কখন কে যাবে তা আগে থেকে শিক্ষকরা জানতে পারেন না। পাপিয়ার অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের জন্য স্কুলে ঠিকভাবে পঠনপাঠন হচ্ছে না।
যদিও প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, একজন শিক্ষক ক্লাসে যাননি। তাই প্রধান শিক্ষক হিসেবে তিনি নিজের দায়িত্ব পালন ক𒁃রেছেন। এই নিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। শিক্ষকদের মধ্যে মারপিটের ঘটনার নিন্দা করেছেন অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য, স্কুলের মধ্যে শিক্ষকরা যদি মারপিট করেন তাহলে ছাত্ররা কী শিখবে।
স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধান শিক্ষক ২০১৯ সালে রানিগঞ্জে হাই স্কুলের দায়িত্ব নেন। তবে প্রথম থেকেই বেশ কয়েকজন সহ শিক্ষকের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। প্রধান শিক্ষক স্কুলের সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। অন্যান্য শিক্ষকদের অভিযোগ, কে কখন কোন ক্লাস নেবেন তা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই তাদের কথা কাটাকাটি হয়। তবে মারধরের ঘটনায় তারা কার্যত স্তম্ভিত। এই ঘটনায♛় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে।