কোপাইয়ের পরে এবার দামোদর নদী। দামোদরে স্নান করতে নেমে পৃথক দুর্ঘটনায় তলিয়ে গেল তিনজন। তিনজনই ছাত্র। তাদের নাম আতিকুল খান, পীযুষ প্রসাদ ও রাহুল পণ্ডিত। সকলেরই বাড়ি ১২ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে। তরতাজা পড়ুয়ারা হারিয়ে গেল নদীতে। তাদের আর কোনও খোঁজ মিলছে না।তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে পুরোদমে। তিনজনের মধ্যে দুজন আসানসোলের ডিএভি স্কুলের পড়ুয়া ও অপরজন হীরাপুর থানার আলমপুর এলাকার বাসিন্দা।এদিকে কিছুদিন আগেই বীরভূমের কোপাই নদীতে জলে ডুবে মৃত্য়ু হয়েছিল দুই যমজ ভাইয়ের। স্কুলে না গিয়ে তারা স্নান করতে নেমেছিল। তাদের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার সেই একই ঘটনা দামোদরে।স্থানীয় সূত্রে খবর, হীরাপুর থানার নেহেরু পার্কের পেছনে দামোদর নদীর ঘাটে স্নান করতে নেমেছিল ৬জন। সকলেই পরস্পরের পরিচিত। সেই বন্ধুরা গরমের মধ্যে স্নান করছিল। আচমকা একে একে তিনজন তলিয়ে যেতে শুরু করে। এরপর তাদের আর খোঁজ মেলেনি।একটি ঘটনায় আতিকুল বলে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্র স্নান করতে নেমেছিল। কিন্তু সে আর উঠতে পারেনি। তার দুই ভাইও স্নান করতে নেমেছিল। কিন্তু তারা দাদাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুজন উঠে আসতে পারলেও আতিকুল আর উঠে আসতে পারেনি। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কীভাবে এই ঘটনা হয়ে গেল তা বুঝতে পারছেন না আতিকুলের ভাইরা।এদিকে ভূতনাথ মন্দিরের কাছে দামোদরের ঘাট থেকে উদ্ধার হয়েছে স্কুল ব্যাগ। তিনজন ওই ব্যাগ ঘাটে রেখেই স্নান করতে নেমেছিল। তিনজনে মিলে বেশ মজায় স্নান করছিল। কিন্তু নদীতেই লুকিয়ে ছিল মৃত্যু ফাঁদ। দামোদর নদীতে স্বাভাবিকভাবে গরমকালে জল কিছুটা কম থাকে। তবে নদী কতটা গভীর তা তারা আঁচ করতে পারেনি। ক্রমেই তলিয়ে যেতে থাকে তারা। কিছু বুঝে ওঠার আগে সব শেষ। একজন উঠে আসতে পারলেও বাকি একজন উঠে আসতে পারেনি। আসলে তারা নদী পেরনর চেষ্টা করছিল। তাতেই বিপত্তি।