মামার সঙ্গে বাড়ি ফিরতে গিয়ে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রাক্টরের চাকা পিষে দিল তিন বছরের শিশু কন্যাকে। মৃত শিশু কন্যার নাম সুহানা খাতুন। মামার সঙ্গে বাইকে করে যাওয়ার সময় মুখোমুখি ধাক্কা মারে একটি ট্রাক্টর। ঘটনায় ট্রাক্টরের চাকার নিজে পড়ে যায় সুহানা। যার ফলে ঘটনাস্থলাই তার মৃত্যু হয়। সুহানার মামা দিলখোশ আলির হাত-পা ভেঙে গিয়েছে। ঘটনাটি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকღার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাংনদীয়া গ্রামের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দুর্ঘটনার জন্য ট্রাক্টর চালকের বেপরোয়া মনোভাব এবং রাস্তার বেহাল অবস্থাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
রাতের অন্ধকারে রাজ্যসড়কে দুর্ঘটনার কবলে বাইক, মৃত চালক, গুরুতর আহত෴ আরোহী
পুলিশ 🎃ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মামার মোটর বাইকে করে ছোট্ট ভাগ্নি সুহানা গাংনদীয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। অপরদিকে ডারল থেকে তুলসীহাটার দিকে বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসছিল একটি ট্রাক্টর। তখনই মোটর বাইকের সঙ্গে ট্রাক্টরের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। বাইক থেকে ছিটকে ট্রাক্টরের চাকার নিচে পড়ে যায় সুহানা। যার ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। দিলখোশ আলির হাত এবং পা ভেঙে গিয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে তড়িঘরি স্থানান্তরিত করা হয় পূর্ণিয়াতে। সুহানার মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
দুর্ঘটনার ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। রাস্তার বেহাল অবস্থা এবং ট্রাক্টরের বেপরোয়া গতিকেই দায়ী করেছেন তারা। তাদের বক্তব্য, রাস্তার দুধারে মাটি দিয়ে সমান করার বারবার বলা হলেও তা করা হয়নি। এই নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। ট্রাক্টরটি যে ঠিকাদারি সংস্থার ছিল সেই সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রধ𒁃ানমন্ত্রী সড়ক যোজনা অধীনে এই তিন কিলোমিটার রাস্তা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করেছে ঠিকাদাররা। অনেক ক্ষেত্রে অপ্রাপ্ত বয়স্🎃ক ছেলেরা চালাচ্ছে ট্রাক্টর। ঘটনার পরেই চালক পলাতক। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির সামাল দেয় পুলিশ। ট্রাক্টরটিকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। ছোট্ট মেয়ের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন মা। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সকলে। ক্ষতিপূরণ এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।