গরু পাচার মালার প্রায় দু'বছর পর জামিন পেয়ে বীরভূমে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বীরভূমে আসতেই উৎসবের মেজাজ দেখা গিয়েছিল নানুরের আটকুলা এলাকায়। সেখানে রীতিমতে পাত পেড়ে রাতে মাংস-ভাত খাওয়ানো হয়েছিল। তবে অনুব🙈্রতের ফেরা নিয়ে অনেক নেতা কর্মীর মধ্যে উচ্ছ্বাস কম রয়েছে, যার ফলে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে বলে কার্যত মেনে নিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর দাবি, এটা আস্তে আস্তে ঠি💧ক হয়ে যাবে। তাহলে অনুব্রত মণ্ডল জামিনের পরেই কি দলের কোন্দল বাড়ল? শতাব্দী রায়ের মন্তব্যের পরে কার্যত সেই বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: সবচেয়ে খারাপ ফল হল এখানে-রামপুরহাটে গিয়ে ꧙▨নেতাদের তোপ সাংসদ শতাব্দীর
শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি ১ ব্লকের আলুন্দ পঞ্চায়েত এলাকার শক্তিপুর গ্রামে যান শতাব্দী। সেখানে একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চ উদ্বোধন করেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা বৃহস্পতিবার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীদের সঙ্গে কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অনুগামীদের অশান্তি নিয়ে জিজ্ঞেসা করেন, যে মঞ্চে একসঙ্গে থাকার কথা বললেও কেন বারবার অশান্তি হচ্ছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী বলেন, ‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছেন। এবার কিছু মানুষের বেশি উচ্ছাস রয়েছে, কিছু মানুষের উচ্ছ্বাস কম রয়েছে। সেই মিলিয়েই অশান্তি হচ্ছে হয় তো। সেটা মি꧒টে যাবে।’ এদিকে, কারামন্ত্রী এবং অনুব্রতর অনুগামীদের অশান্তি কথা শুনে অবশ্য কিছুটা অবাক হয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘চন্দ্রনাথ আর কেষ্টদার মধ্যে কোনও গোষ্ঠী আছে নাকি? দুজনেই তো একই, এত বছরের বন্ধুত্ব এত বছরের সম্পর্ক। এর মধ্যে আবার গোষ্ঠী কীভাবে তৈরি হয়? আমার তো মনে হয় না যে কেষ্টদা এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে কোনও বিবাদ আছে। তবে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি বলা হচ্ছে সেটা কি করে আসছে তা আমার জানা নেই।’
অন্যদিকে, এদিন বিশ্বভারতীতে সেমিনারকে কেন্দ্র করে ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বভারতীটা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। এখানে পড়াশ๊ুনার চেয়ে বেশি রাজনীতি হচ্ছে।’ নিজের সংসদীয় এলাকায় উন্নয়নের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শতাব্দী জানান, সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে আলুন্দা পঞ্চায়েতের শক্তিপুর গ্রামে একটি মুক্তমঞ্চ তৈরি করেছেন তিনি। গ্রামের চাহিদা মেটাতে পেরে তিনি খু্শি হয়েছেন। এই পঞ্চায়েতে গত লোকসভায় এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে শতাব্দী জানান, আগামী দিনে এখানকার মানুষ একই রকম ভালবাসা বজায় রাখবে। একই সঙ্গে তিনি জানান, যে অর্থের অভাবে সব কাজ করা সম্ভব হয় না।