ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটল হাওড়ার সলপ মোড়ে। জাতীয় সড়কের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে গেল পান, সুপারি বোঝাই লরি। ঘটনায় কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৮জন। আহতদের ভর্তি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। ওই গাড়িতে ১২ জন ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা পান, সুপারি নি🍨য়ে পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা থেকে কলকাতায় আসছিলেন। সেই সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরপুকুরে বাসের সংঘর্♛ষের জেরে একের পর এক গাড়িতে ধাক্কা, ꦐআহত ২১
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লরিতে পান, সুপারি বোঝাই বস্তার ওপর বসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। গাড়িটি কলকাতা আসার সময় সলপ মোড়ের কাছে একটি চাকা ফেটে যায়। তাতেই ঘটে বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি উলটে যায়। তার ফলে দ্রুত গতিতে যাওয়া ওই লরির উপর থেকে ছিটকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। পান, সুপারির বস্তাগুলিও রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এদিন দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অন্যদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ব্যবসায়ীদের মঙ্গলবার রাত অবধি হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলে। মৃতদের পরিচয় জানতে আহতদ꧒ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। এরপর তাদের সূত্রে পরিচয় জানতে পেরে মৃতদের পরিবারকে পুলিশ খবর দেয়। জানা গিয়েছে, এদিনের দুর্ঘটনায় মৃত এবং আহতরা সকলেই পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদার বাসিন্দা।
আহত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তারা সপ্তাহে ৩ দিন মেচেদা থেকে পান, সুপারি বোঝাই করে কলকাতায় আসতেন। সেগুলি তারা নাগেরবাজার এবং শ্যামবাজারে বিক্রি করে আবার চলে যান। এদিনও সেই উদ্দেশ্যেই কলকাতায় আসার সময় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। ঘটনার খবর পেয়ে মৃত এবং আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র। এদিন দুর্ঘটনার জেরে রাস্তায় পান, সুপারির বস্ত💎া ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ার ফলে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। পরে নিবড়া ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ সেখানে গিয়ে পান, সুপারির বস্তা এবং দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরিটিকে সেখান থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার ফলে দিন হাওড়া থেকে কলকাতাগামী লেন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।