বগটুই কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বেআইনি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের পর দেখা যায় গত চারদিন ধরে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বীরভূম থেকেই উদ্ধার হয়েছে ৪০০ কেজি বোমা। এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজন൩ৈতিক তরজা। তৃণমূলকে এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বীরভূম জেলার কংগ্রেসের ওয়ারকিং প্রেসিডেন্ট চঞ্চল চ্যাটার্জির কটাক্ষ, ‘বীরভূমে যা বোমা মজুদ আছে তাতে একটা দেশ উড়ে যাবে।’
শুধুমাত্র বীরভূমেই এত পরিমাণ বোমা উদ্ধারের ঘটনায় জেলার বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা কটাক্ষ করে বলেন, ‘বীরভূমের বাড়িতে বাড়িতে বোমা মজুদ রয়েছে। বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে গোটা বীরভূম। এই উদ্ধারকার্য 🌠চালানো হচ্ছে লোক দেখানোর জন্য।’ যদিও ‘মুখ্যমꦐন্ত্রীর কড়া মনোভাবের কারণেই প্রশাসন এই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারের কাজ করছে’ বলে জানিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেওয়ার পর গত শুক্রবার বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় ৬০টি তাজা বোমা।পরদিন সেখান থেকে আরও ১০০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। রবিবার দুবরাজপুর এবং মল্লারপুর থেকে মোট ৭০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। এছাড়া, তিন কেজিꦚ বারুদ উদ্ধার হয়েছিল। তার পরদিন সোমবার বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওইদিনও দুবরাজপুর থেকে বহু বোমা উদ্ধার হয়। পাশাপাশি লাভপুর থেকেও উদ্ধার হয় বহু বোমা। সোমবার সব মিলিয়ে ১৪০ টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। লাভপুরের সংগ্রামের নদীপাড়ের সাও গ্রামের নদীপাড়ের একটি ঝোঁপ থেকে দুটি ড্রামের মধ্যে বোমা রাখা ছিল। সোমবার তা উদ্ধার হয়েছে।