কী আর এমন বয়স! মাত্র ৫ বছর ৭ মাস। তাতেই একেবারে গ𒐪োটা দেশের নজর কাড়ল মালদার শিশু। নাম মাহফুজ রহমান। তার নামই এখন মালদার মুখে মুখে ফিরছে। ঠিক কী করেছে সে?
৫০টি কবিতা আবৃত্তি করতে তার সময় লেগেছে ৮ মিনিট ৫ সেকেন্ড। ভাবা যায়! পাঁচ বছর বয়সের শিশু একটি কবিতা বলꦯতেই হোঁচট খায়। হাত পা ঘেমে একসা হয়ে যায়। আর মাহফুজ একেবারে গড়গড় করে ৫০টি কবিতা বলে ফেলেছে। আর তারই স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস। জাতীয় স্তরে কার্যত রেকর্ড করেছে এই ছোট্ট শিশু। আর তাকে নিয়ে একেবা🍎রে উল্লসিত অনেক বাচিক শিল্পীরা। এত ছোট বয়সে এভাবে কবিতা আবৃত্তি করা কীভাবে সম্ভব সেটা অনেকের কাছেই বিষ্ময়ের কারণ। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছে মাহফুজ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৪৮টি কবিতা ও সত্💖যজিৎ রায়ের ২টি কবিতা আবৃত্তি করেছিল সে। তার সঙ্গে কবির নামও উল্লেখ করেছিল। তার জেরেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে সে। তাঁরা জানান আগামী দিনে গিনেস বুকে নাম তোলার জন্য় চেষ্টা করছে মাহফুজ। সেজন্য় আরও কবিতা আবৃত্তি করা শিখছে। তবে তার বাবা মায়ের ইচ্ছা বাংলা ভাষায় কবিতা আবৃত্তি করুক মাহফুজ।
বাড়ি মালদার ইংরেজবাজারে। মা তাহাসিনা মাহফুজ। তাঁর কাছে আবৃ্ত্তি শেখে ছোট্ট ছেলে। বাবা মসফুদার রহমান মালদা কলেজের অধ্যাপক। ছোটবেলা🧸 থেকেই ছেলেকে ছোট ছোট ছড়া শোনাতেন। আধো আধো গলায় বলত সেই ছড়া। এরপর যত দিন গিয়েছে সে কবিতা বলতে শুরু করে। এবার তো একেবারে র♛েকর্ড করে ফেলল।
মালদা শহরের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ইউকেজিতে পড়ে সে। বয়স মাত্র ৫ বছর ৭ মাস। ইংর༺েজি মাধ্যমে পড়লেও পরিবারের লোকজন চান যেন বাংলার প্রতি তার ভালোবাসা থাকে। আগামী দিনে বাংলা ভাষাতেই কবিতা বলুক মাহফুজ এটাও চায় পরিবার।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড♍সের জন্য় কবিতা পাঠের আসর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই যোগ দিয়েছিল সে𒊎। আর তার কবিতা শুনে অবাক হয়েছেন আয়োজকরা।
এই বছর এই বয়সে এমন রেকর্ড আ✃র কেউ করতে পারেনি। কার্যত রেকর্ড করেছ সে। কবিতার নাম, কবির নাম সবটা বলেছে সে। সেই সঙ্গে তার কবিতা শ্রুতিমধুরও। মালদার গর্ব ছোট্ট মাহফুজ।