প্রেমের সম্পর্ক এগিয়ে গেলেও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হচ্ছিল না। এই প্রেমের সম্পর্ক এগিয়ে চলার♉ সময় ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল ওই তরুণী, তরুণ প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু বিয়ে নিয়ে টালবাহানা চলার সময় প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিল তরুণী। দাবি একটাই, বিয়ে করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু থানাতে গিয়েই আত্মঘাতী হল তরুণী। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার এই ঘটনা এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, এই তরুণীর বাড়ি হেমতাবাদ থানা এলাকায়। এখানের এক তরুণের সঙ্গে প্রায় দু’বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাধবপুরের কাশিডাঙায় তরুণ প্রেমিকের বাড়ি। বিয়ে নিয়ে টালবাহানার জꦗেরে হঠাৎ প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে তরুণী। থানায় খবর দেওয়া হলে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। থানায় এসে শৌচাগারে যেতে চায় মেয়েটি। তবে অনেকক্ষণ শৌচাগার থেকে বের হচ্ছে না তরুণী দেখে সন্দেহ হয়। আর শৌচাগারের দিকে এগোতেই একটা শব্দ কানে আসে। তখন ভিতরে ঢুকে দেখা যায়, তরুণীর ঝুলন্ত দেহ।
তারপর সেখানে কী ঘটল? এই পরিস্থিতিতে ওই তরুণীকে নিয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন তড়িꦕঘড়ি তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তরুণীকে মৃত বলে ঘ🔴োষণা করেন🐼।
পরিবারের অভিযোগ ঠিক কী? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই মৃত তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার জন্য ওই তরুণ দায়ী। তাই ওই নাবালকের বিরুদ্ধে𝐆 হেমতাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে থানার ভিতরে এমন একটা ঘটনা ঘটায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার বলেন, ‘এই ঘটনার সমস্ত দিক বিবেচনা করে তদন্ত করা হচ্ছে।’