বকেয়া টাকা চাওয়াতে দোকান মালিককে গরম তেলের কড়াইতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মিষ্টির দাম চাইতেই তাঁকে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে ফেলে চম্পট দিল ক্রেতা। আসলে এই ক্রেতা কয়েকদিন ধরে ধারে মিষ্টি খেয়েছেন। সেই টাকাই চাওয়া হয়েছিল। আজ, বুধবার বিষ্ণুপুর শহরের পোকাবাঁধ পাড়ে দোকান মালিকের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি ▨হাসপাতালে।
দিনের পর দিন বাকিতে মিষ্টি খেয়েছিলেন ক্রেতা। কিন্তু সেই টাকা বকেয়াই পড়ে ছিল। বাকিতেই মিষ্টি খাচ্ছিলেন ক্রেতা বলে অভিযোগ। তবে আজ সেই বকেয়া টাকা চাওয়াতেই হল বিপত্তি। বকেয়া টাকা চাওয়াতে দোকান মালিককে ধাক্কা দিয়ে গরম তেলের কড়াইতে ফেলে দেওয়🔜ার অভিযোগ উঠল এই ক্রেতার বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর শহরের পোকাবাঁধ বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। এখানেই ম🌊িষ্টির দোকান রয়েছে কৃষ্ণপদ দে মোদকের। আর এই দোকানেই দিনের পর দিন ধারে খাবার খায় স্থানীয় টোটোচালক বর্ষাত শেখ।
এদিকে আজ গণেশ মিষ্টান্ন ভান্ডার𒊎 দোকানে শেখপাড়ার যুবক বর্ষাত শেখ কচুরি খেতে আসেন।ꦰ তখন দোকানের মালিক কৃষ্ণচন্দ্র দে মোদক বর্ষাত খানের কাছে বকেয়া টাকা চাইলে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে গরম তেলের কড়াইতে ফেলে দেয় এবং পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দোকানের মালিক কৃষ্ণচন্দ্র দে মোদক। প্রথমে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তখনই বর্ষাত𝓰 দোকান মালিককে গালিগালাজ করতে থাকেন। গালিগালাজের প্রতিবাদ করতেই কৃষ্ণপদ দে মোদককে ধাক্কা দিয়ে দোকানের উনুনে চাপানো কড়াইয়ের ফুটন্ত ত൲েলে ফেলে দেন ওই ক্রেতা বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে গরম তেলে পড়ে গিয়ে কৃষ্ণপদর হাত–দু’পায়ের হাঁটু ঝলসে যায়। তাঁর আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন পাশের ব্যবসায়ী ও দোকানের লোকজন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। এখন সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। কৃষ্ণচন্দ্রবাবুর ছেলে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘এলাকায় ‘ত্রাস’ হিসাবে পরিচিত বর্ষাত খান নামে ওই টোটো চালক। এখানে ধার করে খাবার খেত। আজ🔯ও ধারে কেতে চাইলে বাবা দিতে অস্বীকার করে। তাই এই কাজ বর্ষাত করেছে।’ এই ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় বর্ষাত। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। বর্ষাতের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।