প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে জলপাইগুড়ির মালবাজারের মাল নদীতে হড়পা বানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে এখন𝔉ও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই নিহতের পরিবার এবং আহতদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। আর বিজেপি–কংগ্রেস এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি শুরু🎶 করেছে। এই ইস্যুতে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
ঠিক কী বলেছেন বহরমপুরের সাংসদ? মাল নদীর দ✤ুর্ঘটনা নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এই বাংলায় মানুষের জীবনের তো কোনও মূল্য নেই। হড়পা বানে মরে, তড়িতাহিত হয়ে মৃত্যু হয়। চলতে চলতে মরে, ড্রেনে পড়ে মরে, ডেঙ্গিতে মরে। এই বাংলায় মৃত্যু তো ছেলেখেলা। আসল খেলা দিদি খেলতে জানেন, বাকি সব কিছু ছেলে🐽 খেলা। স্বাস্থ্য নিয়ে, শিক্ষা নিয়ে, জীবন নিয়ে এখানে ছেলে খেলা হয়। তারই পরিণাম এগুলি।’
ঠিক কী বলছে বিজেপি? এই ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ‘এটা কি নিছকই কোনও দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত খুন? বালি ও পাথর মাফিয়াদের সাহায্য করতে মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তৈরি করা꧋ হয়েছি♛ল কৃত্রিম বাঁধ। য♉ার কারণেই মৃত্যু হল এতগুলি প্রাণের? সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীর গ্রেফতার এবং মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি।’
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে বুধবার প্রতিমা বিসর্জনের সময় ৮ জন সিভিল 🍸ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ঘটনাস্থলে। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী জানান, তাঁদের কাছে দড়ি ছাড়া কিছ♍ু ছিল না। এমনকী এনডিআরএফের আধিকারিক সেখান থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আজ, বৃহস্পতিবার আহতদের দেখতে মাল হাসপাতালে এসেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।