স্কুলে কেন্দ্রীꦕয় বাহিনী থাকলেই নানা সমস্যার কথা বলা হয়। স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেই বলা হয় যে তাতে নাকি স্কুলের পঠনপাঠনের সমস্যা হয়। কিন্তু মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে যে ছবি ♌দেখা গেল তা শুনলে অবাক হবেন আপনিও।
সামসেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ প্রাইমারি স্কুল। সেই স্কুল বর্তমানে আপার প্রাইমারি পর্যন্ত উন্নীত 🌊হয়েছে বলেও খবর। আর সেই স্কুলেই বাস করে অন্তত ৩৫টি পরিবার। এক এক একটি ঘর♎ে অন্তত চার পাঁচটি করে পরিবার গাদাগাদি করে থাকে। একেবারে করুণ পরিস্থিতি।
কয়েকটি পরিবার ২০২২ স🧸াল থেকে এই স্কুলে থাকে। আবার কয়েকটি পরিবার থাকে সেই ২০২৩ সাল থেকে। কিন্তু আচমকা কেন স্কুলে থাকছেন তাঁরা?
মুর্শিদাবাদের গঙ্গা ভাঙন গ্রাস করেছে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই। এরপর তাঁরা আশ্রয় নেন স্কুলে। এদিকꦍে গঙ্গা তো তাদের বাড়ি খেয়ে♔ নিয়েছে। তাঁরা এবার যাবেন কোথায়?
বাধ্য় হয়েই তাঁরা এবার আশ্রয় নি🌺𝓰য়েছেন এই স্কুলবাড়িতে। দিনের পর দিন ধরে তাঁরা ওই স্কুল বাড়িতেই থাকছেন।
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। আবার আসবে বর্ষাকাল। আবার আসবে ভাঙনের আতঙ্ক। কিন্তু এই অসহায় পরিবারগুলি যাবে কোথায়🍰?
কার্যত বাধ্য় হয়েই তাঁরা এই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।সেখানেই বিড়ি বেঁধে কোনওরকমে সংসার গুজরান করছেন তাঁরা। আগামীদিনে কীভাবে চলবে সেটা জানেন না তাঁরা। একেবারে অনিশ্চিত ভবཧিষ্যৎ।
এলাকায় ঘুরে দেখা গেল ভাঙনের একেবারে ভয়াবহ ছবি। গঙ্গা ক্রমশ এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। তার মধ্য়েই ঘরবাড়ি খেয়ে নিয়েছে গঙ্গা। তার জেরে স্কুলবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। এদিকে সূত্রের খবর, স্কুলে যে পরিবারগুলি আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য লস্করপুর এলাকায় জমির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাট্ไটার ব্যবস্থা করেছেন।🧸 কিন্তু সেই জমি তাঁদের একেবারেই পছন্দ নয়। কিন্তু কেন পছন্দ নয় সেই জমি?
ঘরছাড়াদের একাংশের দাবি, ওই এলাকা অনেকটা দূর🐟ে। তাছাড়া সেখানে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষরা বাস করেন। তাঁদের সঙ্গে মানাতে পারব কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সেকারণেই সেখানে যেতে চাইনি।
এদিকে একে তো ৩৫ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে স্কুলে। আবার সেই স্কুলে পড়ুয়ারাও পড়তে আসে। অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু ভোটের মুখে এই অসহায় পরিবারগুলিই বা যাবে কোথায়? 🐻তাঁদের মাথাতেও তো ছাদ নেই। আবার স্কুলের মধ্য়ে বছরের পর বছর ধরে পরিবারগুলি বাস করার জেরে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। কার্যত ভ✅োটের মুখে উভয় সংকটে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।