অনলাইনে কারচুপি করে ট্যাবের টাকা সরানোর ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। প্রশ্নের মুখে পড়েছিল রাজ্যের সরকারি পোর্টালের নিরাপত্তা। এবার একই অভিযোগ রাজ্যের কৃষক বিমা প্রকল্পকে কেন্দ্র করে। কোনও বিরোধী দলের নেতা - কর্মীরা নন। এই অভিযোগ তুলছেন খোদ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে ব্লক প্রশাসন। তবে প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে ঠিক কত জায়গায় এই কারচুপি হয়েছে।বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের প্রায় ৯ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কৃষি বিমার টাকা পাঠিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। অভিযোগ, চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ফুলচক গ্রামে সরাকারি পোর্টালে কারচুপি করে এমন অনেকে কৃষক বিমার টাকা পেয়েছেন যাদের এক ছটাক জমি নেই। ওদিকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা।তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত চন্দ্রকোনা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সূর্যকান্ত দলুই বলেন, বিশ্বজিৎ পাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা এলাকার মানুষদের ভুল বুঝিয়ে ও তাদের নথিতে কারচুপি করে অনলাইনে শস্য বিমার ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছিলেন। এদের কারও এক ছটাকও জমি নেই। একটাই জমিকে দেখিয়ে একের পর এক আবেদন করা হয়েছে। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকাও এসেছে। ২০ - ২৫ জন এভাবে কারচুপি করে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন।এই ঘটনায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের মতো শস্য বিমা প্রকল্পেও তৃণমূল কর্মীদের পাইয়ে দেওয়ার খেলা চলছে। এমন অনেক তৃণমূল কর্মী বিমার টাকা পেয়েছেন যাদের কোনও জমিই নেই। ওদিকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি নেতা - কর্মীদের আবেদন বাতিল হয়েছে।এই ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের কাছে বিশ্বজিৎবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন সূর্যকান্তবাবু। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে ব্লক প্রশাসন। ফ্রিজ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এব্যাপারে ব্লক কৃষি অধিকর্তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।চন্দ্রকোনার এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যে কত জায়গায় এই কারচুপি হয়েছে। একই জমি দেখিয়ে ২০ - ২৫ জন ক্ষতিপূরণ পেলেন কী করে? তবে কি কোনও কিছু খতিয়ে না দেখেই বিমার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা? না কি কারচুপির অংশ তারাও? নইলে বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের একাউন্টেই টাকা ঢুকল কী করে?