বিভিন্ন স্টেশনকে হকারমুক্ত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে আরপিএফ। এদিকে এনিয়ে সংঘাতও বাড়ছে ক্রমশ। আর এসবের মধ্যেই শুক্রবার হুগলি স্টেশনেও হকার উচ্ছেদ করতে এসেছিল আরপিএফ। এ𝓀কেবারে প্রস্তুতি নিয়ে এদিন হুগলি স্টেশনে এসেছিল আরপিএফ। ব্যান্ডেল, শেওড়াফুলি, বেলুড় থেকেও আরপিএফ এদিন হুগলি স্টেশনে জড়ো হয়। ইনসপেক্টর রাজীব রাঠির নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী হুগলি স্টেশনে এসে পৌঁছায়। একেবারে টান টান উত্তেজনা। লাঠি, ঢাল নিয়ে তৈরি আরপিএফ। দুটি ভেন্ডার স্টল তুলেও দেয় তারা। কিন্তু তারপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। রেলপুলিশের বিরুদ্ধে শুরু হয় তুমুল আন্দোলন। প্লাটফর্মের হকারদের সঙ্গে ট্রেনের হকাররাও বিক্ষোভ যোগ দেন। ক্রমে আন্দোলনকারীদের লোকবল বাড়তে থাকে। শুরু হয় স্লোগান।
আরপিএফের অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন হকাররা। তাঁদের অভিযোগ, গরিব হকারদের পেট♍ে লাথি মারা হচ্ছে। যখন তখন জরিমানা করা, ক্রিমিনাল কেস দেওয়া হচ্ছে। এতে নাজেহাল হয়ে যাচ্ছেন হকাররা। রুটি রুজির সব রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে।
এদিকে রেলপুলিশ এদিন যে দুটি স্টলকে সরিয়ে দিয়েছিল ফের সেগুলꦰি তারা যথাস্থানে বসিয়ে দেন। তাঁদের দাবি, এভাবে জোরজুলুম সহ্য করা যায় না। বেলুড় স্টেশনও আরপিএফের জুলুমবাজির মুখে পড়তে হচ্ছে হকারদের। লাঠিচার্জ করলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা। একটা সময় কার্যত বাধ্য হয়েই পিছু হঠতে শুরু করে আরপিএফ।