বারবার খবর উঠে আসে গজরাজের দল লোকালয়ে চলে এসেছে। খেয়ে নিয়েছে সঞ্চিত খাবার। নষ্ট করেছে ফসল। আর তাদের তাড়াতে গেলে মাঝেমধ্যে দিতে হয়েছে প্রাণও। এবার দেখা গেল, অন্যরকমের ঘটনা। মা হাতি চা–বাগানে সন্তান প্রসব করল। আর তার ಞপর থেকে নিজের সন্তানকে পায়ে দাঁড় করানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে লাগল। মা হাতির সঙ্গীরা তাকে আলিপুরদুয়ারের চা–বাগানে রেখেই ফিরে গিয়েছে ঘন জঙ্গলে। যেখানে তাদের বাস। আর মা হাতি সন্তান জন্ম দিয়ে ওই চা–বাগানে রয়েছে। কারণ তার সন্তান তো এখনও নিজের পায়ে হাঁটতে শেখেনি। এই ঘ𓄧টনার সাক্ষী থাকলেন চা–বাগানের শ্রমিকরা।
সন্তান স্নেহ শুধু মানুষের মধ্যেই থাকে তা নয়। বরং জঙ্গলে বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যেও তা থাকে। চা–বাগান দিয়ে যাওয়ার সময়ই সন্তানের জন্ম দেয় মা হাতি। তারপর করেছে অপেক্ষা। শনিবার রাতে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট–বীরপাড়া ব্লকের মুজনাই চা–বাগানের পাঁচ নম্বর সেকশনে মা হাতি সন্তানের জন্ম দেয়। আর তখন থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত মা হাতি তার ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে অনেকক্ষণ চা–বাগানেই দাঁড়িয়ে থাকে। সেটা দেখতে কৌতূহলী শ্রমিকরা ভিড় জমান। তবে তাঁরা 💞কেউ ওই মা হাতিকে বিরক্ত করেননি। বরং খবর দেন বন দফতরে। মাদারিহাট রেঞ্জের অফিসার ও বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। হাতিকে চা–বাগান ধরে জঙ্গলের পথে যেতে সাহায্য করা হয়েছে।🐟 ওই মা হাতি রাতেই জঙ্গলে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: ‘পুজো কমিটিগুলিকে কম করে ১০ লক্ষ টাকা দিন’, অনুদান মামলায় রাজ্যকে প্রধান বিচারপতি
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে হাতির দল মুজনাই চা–বাগানে ঢুকেছিল। সেখানে এই হাতিটি ছিল। আর রাতেই হাতিটি একটি সন্তানের জন্ম দেয়। দলের অন্যান্য হাতিগুলি রাতে ধুমচির জঙ্গলে ফিরে গেলেও মা হাতি সন্তানকে নিয়ে মুজনাই চা–বাগানেই দাঁড়িয়েছিল। আসলে সদ্যজাত শিশু হাতির নিজের পায়ে দাঁড়ানো ওꦗ হাটা শেখা পর্যন্ত সময় দরকার ছিল। তাই মা–হাতি চা–বাগানে সন্তানকে নিয়ে অবস্থান করছিল।💟 বন দফতরের কর্মীরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। এত লোক দেখেও মা হাতি সন্তানকে নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল।
এই ঘটনা চাক্ষুষ করে আপ্লুত গ্রামবাসীরা। এমন দৃশ্য সহজে দেখা যায় না। এমনকী চিড়িয়াখানাতেও এমন দৃশ্য দেখা যায় না। এই বিষয়ে বন দফতরের মাদারিহাট রেঞ্জার শুভশিস রায় বলেন, ‘মুজনাই চা–বাগানে শনিবার রাতে মা হাতি সন্তান প্রসব করে। দলের অন্য হাতিগুলি মা হাতিকে সেখানে রেখে দিয়ে ধুমচি জঙ্গলে ফিরে যায়। মা হাতিও রবিবার বিকেলে তার শাবককে নিয়ে ধীরগতিতে ধুমচির জঙ্গলের পথে রওনা দেয়। মা হাতি ও সন্তানটির উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তারা দু’𒅌জনেই আপাতত সুস্থ রয়েছে।’