প্লাস্টিকের ব্যবহার যে পরিবেশের কত ক্ষতি করছে, তার হিসাব দিয়ে শেষ করা যাবে না। সবথেকে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, মানবজাতির এ♐ই আবিষ্কারের বিষ ছড়িয়ে পড়ছে অবলা পশুপাখিদের শরীরেও।
তেমনই এক ভয়ঙ্কর ও উদ্বেগজনক ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেল সুদূর অ্যান্টার্কটিকায়! সেখানকার ভিনীর দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা অ্যাডেলি পেঙ্গুইনদের শরীরের ন𝄹ানা অংশে মাইক্রো প্লাস্টিক খুঁজে পেলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা!
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই নির্দিষ্ট প্রজাতির পেঙ্গুইনের ফুসফুস, শ্বাসন𒊎ালী এবং পৌষ্টিক তন্ত্রে ২০ থেকে ১০০ মাইক্রনের প্লাস্টিক কণা খুঁজে পান ওই ভারতীয় গবেষকরা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতি💃বেদন বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ সালের মধ্যে আয়োজিত ৩৯তম ভারতীয় অ্যান্টার্কটিকা অভিযানের সময় এই গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এই গবেষণার ফলাফল সামনে আসতেই পরিবেশ ও পক্ষ🦹ীপ্রেমীদের পাশাপাশি বিজ্ঞানী মহলেও উদ্বেগ ও আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়েছে। সকলেরই বক্তব্য, এভাবে প্লাস্ট𓄧িকের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে, আগামী দিনে তার জেরে পেঙ্গুইনদের অস্তিত্ব সঙ্কট তৈরি হতে পারে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এই গবেষণাপত্রটি সম্প্রꦦতি 'সায়েন্স অফ দ্য টোটাল এনভায়রোমেন্ট' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা পরিবেশ বিজ্ঞান সম্পর্কিত পত্রিকাগুলির মধ্যে অন্যতম।
এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান পুনর্বসু চৌধুরী। তাঁকে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র ওই প্রতিবেদনে 🌜লেখা হয়েছে - 'এটি একটি অনন্য গবেষণা। কারণ, এই প্রথম কোনও রিপোর্টে অ্যাডেলি ꦰপেঙ্গুইনদের শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। যারা অ্য়ান্টার্কটিকার স্বাভাবিক অধিবাসী।'
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট অভিযানের সময়েই অ্যান্টার্﷽কটিকার ওই এলাকায় মৃত অ্যাডেলি পেঙ্গুইনদের শরীরের নানা অংশের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এবং সেসগুলিকে সংরক্ষণ করে পরব✱র্তীতে ভারতের নিয়ে আসা হয়।
দেশে ফেরার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটি সেই নমুনাগুলি পরীক্ষা করে। তাতেই পেঙ্গুইনের দেহেꦍর নমুনায় মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়।
তারও পরে প্রধান বিজ্ঞানী মহুয়া সাহার তত্ত্বাবধানে গোয়ার সিএসআইআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউ অফ ওশান⛄োগ্রাফিতে সেই মাইক্রোপ্লাস♉্টিকের চরিত্র নির্ধারণ করা হয়।
এই গবেষণা রিপ﷽োর্ট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক সুগত হাজরা।
তিনি বলেন, 'অ্যাডেলি পেঙ্গুইনদের শরীরে যেভাবে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত ন🌺া ওই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উৎস চিহ্নিত করে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অ্যাডেলি পেঙ্গুইনদের বিপদ কাটবে না।'