চিকিৎসায় গাফিলতি, আর তার জেরে সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুর এবং চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল রোগী পরিবারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের। খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত🅰্রণে আনে। ঘটনায় ৪ জনক✤ে আটক করেছে রামপুরহাট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: গলায় অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মৃত্যু ১৯ বছ💃রের বধূর, নার্সিংহোমে বিক্ষোভ পরিজনদের
জানা গিয়েছে, মৃত রোগীর নাম আনসারুল শেখ। তিনি পাইকর থানার হাবিসপুর গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারাত্মক জখম হয়েছিলেন আনসারুল। ঘটনায় তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু, তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। আ𝓡র তাতেই চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ তোলেন আনসারুলের পরিবার। তাদের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি করার পর প্রথমে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন আনসꦦারুলের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তারপরেও কীভাবে তিনি মারা গেলেন? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের উপর ক্ষোভ উগড়ে দেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা।
পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছিলেন আনসারুলকে অন্য কোনও হাসপাতালে স্থানান্তর করার প্রয়োজন নেই, তিনি এখানেই সুস্থ হয়ে যাবেন কিন্তু, তারপরে তাকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় আর সেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর খিঁচুনি শুরু হয় আনসারুলের। শেষে তার মৃত্যু হয়। রোগীর পরিবারের 𝕴সদস্যদের অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কারনে মৃত্যু হয়েছে আনসারুলের। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এদিন সন্ধ্যার পর রোগী পরিবারের প্রায় ৭০-৮০ জন সদস্য এসে হাসপাতালে হামলা চালায়। ভাঙচুর করার পাশপাশি চিকিৎসকদের মারধর করে। জানা গিয়েছে, রোগীর আত্মীয় পরিজন হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালায়। তাদের তাণ্ডবে꧟ অন্যান্য রোগীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রামপুরহাট থানার পুলিশ পৌঁছলে তাদেরকেও ধাক্কাধাক্কি করে রোগী পরিজন। ঘটনায় রামপুরহাট থানার এক এএসআই জখম হন। এছাড়াও, রোগীর আত্মীয়রা জরুরি বিভাগে কর্মরত দুই চিকিৎসককে মারধর করেন। জানা যায়, শনিবার দুপুরে তারাপীঠ থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন আনসারুল। সেই সময় ওই যুবক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি কালভার্টে ধাক্কা মারেন। পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরে সেখানেই সন্ধ্য🥃ায় মারা যান।