পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আদিবাসী মহিলাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। থানা ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি থানায়। বিক্ষꩲোভরত আদিবাসীদের দাবি, এর জন্য ওই অফিসারকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে আদিবাসীরা।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের মধ্যেই ওঝাগিরি, ভূত 🧸ছাড়ানোর নামে বেধড়ক মারℱধর, মৃত্যু আদিবাসী মহিলার
কী ঘটেছিল?
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি হল বারাবনি থানার দোমহানি গ্রাম পঞ্চায়েতের গামছা গাদা গ্রামের। ওই গ্রামের একটি বাড়িতে মাকু সোরেন নামে এক বৃদ্ধা বসবাস করেন। সেই বৃদ্ধার সঙ্গে তারই বাড়িতে রবি মুর্মু ও তাঁর স্ত্রী ললিতা মুর্মু বিগত ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন । তবে, কিছুদিন আগে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে রবি মুর্মুর ঝা🌟মেলা হয়। বাড়িতে বসবাসকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে এই ঝামেলা । যার ফলে তাদের বাড়িতে থাকতে দিতে আপত্তি জানান ওই বৃদ্ধা। তাই নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত।
এরপরে ওই বৃদ্ধার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান রবি মুর্মু। তিনি বারাবনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গেলে জানতে পারে যে আসলে ওই বাড়ির মালিকানা রয়েছে বৃদ্ধার নামে। তিনি রবি মুর্মুকে বাড়িতে থাকতে দেন। তখন রবি মুর্মু না থাকায় পুলিশ তার স্ত্রী ললিতা মুর্মুকে হুমক♕ি দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা ললিতা মুর্মু বারাবনি থানার ওই অফিসার সৌমেন ঘোষের বিরুদ্ধে অভদ্র আচরণের অভিযোগ তোলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই পুলিশ অফিসার নাকি তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়ার হুমকি দেন। এমনকী এলাকা ছাড়া করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বাড়ি খালি না করলে মিথ্যা মামলাতে ফাঁসানো হবে বলেও অভিযোগ মহিলার। তবে বৃদ্ধার দাবি, বাড়িটি তাঁর। তিনি কাউকে রাখবেন কি রাখবেন না সেটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজের বিষয়।
এই ঘটনার পরেই তেতে ওঠেন এলাকার ♔আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। তারই প্রতিবাদে এলাকার আদিবাসী সমাজের মানুষ একত্রিত হয়ে বারাবনি থানার সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এসিপি ঈপ্সিতা দত্ত। যদিও পুলিশ অফিসারের দাবি, তিনি ওই বাড়িতে সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে বলেছেন।