প্রথমে ভিডিয়ো কলে স্ত্রীকে তালাক। আর তারপরে জোর করে তালাকনামায় সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকেও বিতা𝄹ড়িত করা হল ওই গৃহবধূকে। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জলঙ্গা গ্রামে। ঘটনায় স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিল। উল্লেখ্য, বর্তমানে তিন তালাক বেআইনি ও অসাংবিধানিক। কিন্তু, সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাব🔥েই তালাকনামায় সই করানোর অভিযোগ উঠল । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহিলার স্বামী।
আরও পড়ুন: ভাঙ্গন ‘অপ্রতিরোধ্য’ হলে♔ও সবক্ষেত্রেꦗ বিবাহ বিচ্ছেদই সমাধান নয়,মত সুপ্রিম কোর্টের
জানা গিয়েছে, ১৩ বছর আগে মহিলার বিয়ে হয়েছে। তাদের দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। স্বামী কৃষিকাজ করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই মহিলার ওপর স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচ𝓡ার শুরু হয়। অতিরিক্ত পণ চেয়ে তারা মহিলাকে মারধর এবং লাঞ্ছনা করে থাকে বলে অভিযোগ। তা সত্ত্বেও মুখ বুজে সবকিছু অত্যাচার মহিলা সহ্য করে আসছিলেন।
জানা গিয়েছে, মহিলার বাপের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। তিনি যখন বাপের বাড়িতে ছিলেন তখন তার স্বামী ভিডিয়ো কলে ফোন করে ছিলেন। তখন তিনি ভিডিয়ো কলেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসতেই সোমবার সন্ধ্যায় স্বামী এবং শাশুড়ি মিলে তাকে মারধর করেন। ঘটনায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন গৃহবধূ। তার অভিযোগ, তাকে জোর করে তালাকনামায় সই 💃করিয়ে নেওয়া হয়েছিল ।তবে প্রাণ বাঁচাতে পরে তিনি ক෴োনওভাবে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন । পরে মঙ্গলবার সন্ধেয় তিনি মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বছর খানেক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু, কিছুদিন ধরেই তার স্বামী তাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য ফোন করছিলেন। তবে ভয়ে তিনি যেতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ছেলে মেয়েদের কথা ভেবে তিনি স্বামীর ঘরে ফিরে যান। আর তারপরে ফের অত্যাচার শুরু হয়। মহিলার অভিযোগ, সোমবার বিকেলে তারা জোর করে তালাকনামায় সই করিয়ে ✅নেন। তারপর সন্ধেয় বেধড়ক ম🐈ারধর করে প্রাণে মারার চেষ্টা করে ।
তবে অভিযুক্ত স্বামী এসব অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার স্ত্রী তার সঙ্গে ঘর করতে চাননা বলেই তালাকনামায় সই করেছেন ।তিনি এক বছর ধরে বাবার বাড়িতে♈ ছিলেন। কোনদিনও স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেননি তিনি। পুলিশ তদন্ত করলেই সত্যি বেরিয়ে আসবে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।