হাওড়ার পর এবার কল্যাণী। ভুয়ো চিকিৎসক সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম এ আর ফারুকি। অভিযোগ, তকে অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসা চালাচ্ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্তকে কল্যাণী শহরের ‘এ’ ব্লকের একটি ওষুধের দোকানের চেম্বার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই 'চিকিৎসক' তাঁর প্রেসক্রিপশনে নিজেকে এমডি থেকে শুরু করে ডিএনবি ডিগ্রি-সহ একাধিক বিদেশি ডিগ্রিধারী বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর দেওয়া যাবতীয় তথ্য যাচাই করে দেখছে পুলিশ। আদৌও ওই চিকিৎসকের উল্লেখিত সমস্ত নথি বৈধ কিনা তা জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।। এমনকী, ওই চিকিৎসকের গাড়ির চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওই সন্দেহভাজনের বাড়ি থেকে সমস্ত শংসাপত্র আনতে, ওই চালককে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীদের তরফে সন্ধ্যার মধ্যে সমস্ত নথি থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই চালক জানিয়েছেন, তিনি গত দেড় বছর ধরে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ করছেন, কিন্তু ওই চিকিৎসক যে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি। এর আগেও হাওড়ার মল্লিক ফটক এলাকা থেকে মৃত চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ‘অ্যালোপ্যাথি’ চিকিৎসা চালানোর অভিযোগে এক ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল সাঁতরাগাছি থানার পুলিশ। স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার করা হয় ওই ভুয়ো চিকিৎসককে। ধৃত ওই অভিযুক্তের নাম সঞ্জয় কুমার। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত সাত বছর ধরে মৃত চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে আলোপ্যাথি চিকিৎসা করছিলেন সঞ্জয়। কয়েকজন এলাকাবাসীর কাছ থেকে এই খবর জানতে পারে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে ওই চিকিৎসককে প্রথমে আটক করে পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।