ত্রাণের ত্রিপল নিয়ে বচসা। তর্কাতর্কি। আর সেই ঝগꩵড়ার জেরে সরকারি আধিকারিকের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির দুজন কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে। এদিকে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে দলের অন্দরে। হুগলির বলাগড় ব্লকের এই ঘটনাকে ঘিরে চাপানউতোরও তুঙ্গে উঠেছে। তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তাঁদের দাবি, আইন অনুসারে যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটাই মানতে হবে। এদিকে গোটা ঘটনায় স্থানীয় বিডিও থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ স্বপন মণ্ডল ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কাশীনাথ হালদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। বলাগড় ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক শ্রীমন্ত দের উপর তাঁরা চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার মন্ত্রী ইন꧃্দ্রনীল সেন সবুজ দ্বীপ🎶 পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সবুজ দ্বীপ পরিদর্শনের আগে দুই কর্মাধ্যক্ষ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকের কাছে ত্রিপল চাইতে যান। পরিদর্শন শেষ করে ত্রিপল দেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। কিন্তু তখনই ত্রিপল দেওয়ার দাবি করেন দুজনেই। তবে তখনকার মতো বিষয়টি মিটে যায়। পরে পরিদর্শন শেষ হওয়ার পর জিরাট বিডিও অফিসে তিনজনের মধ্যে তুমুল বচসা বেঁধে যায়।
সেই সময়ই ওই সরকারি আধিকারিককে গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয় বলে অভিযোগ। বলাগড়ে ঢুকতে দেব না বলেও হুঁশিয়ারি দেন এক কর্মাধ্যক্ষ। অন্যান্য কর্মীরা তাঁদের কোনওরকমে শান্ত করেন। গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়েছে প্রশাসনের অন্দরেও। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের দাব﷽ি, ঘটনায় এফআইআর হয়েছে। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। আইন হাতে নেওয়া উচিৎ নয়। দলের কর্মাধ্যক্ষ হলেও আইন সকলের জন্য সমান।