ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিল🦹র তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। এবার এই খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম কলেবর সিং। এই কলেবর সিংকে অনেকদিন ধরেই খোঁজ করা হচ্ছিল। সে গা–ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের জরিডি থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত কলেবরের বাড়ি জরিডিতেই। তার অপরাধের ইতিহাস আছে। ব্যাঙ্ক ডাকাতি, তোলাবাজি, প্রতারণা–সহ একাধিক অভিয🌳োগ রয়েছে কলেবরের বিরুদ্ধে। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় এর আগে তাঁর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার কাছ থেকেই কলেꦫবর সিংয়ের নাম জানতে পেরেছিল পুলিশ। তারপর থেকেই কলেবরের খোঁজ করছিল পুলিশ। কিন্তু সে নানা জায়গায় গা–ঢাকা দিয়েছিল।
ঠিক কী ঘটেছিল তপন কান্দুর? গত ১৩ মার্চ রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। ঝালদা–বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। একটি মোটরবাইকে আসা তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চা💧লায়। তাঁর পেটে গুলি লা𒐪গে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন কান্দু। ꧋আর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর ভাইপো দীপক൲ 🎃কান্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীপক কান্দু পুরসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তপনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছে তিনি নির্বাচনে হেরে যান। তপন কান্দুর মৃত্যুর ঘটনায় দীপকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, ‘এটা মার্ডার ফর মেজোরিটি’। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণেই তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছে৷