পলিটেকনিকের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতরܫ্ক তৈরি হয়েছে। কারণ প্রশ্নপত্রই দেওয়া রয়েছে সঠিক উত্তর। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে কারিগরী ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংসদ। কীভাবে এত বড় ভুল হল তার উত্তর নেই কারও কাছে। এখন একটি ট্রেডের পড়ুয়ারা বাড়তি সুবিধা পেলে অন্য ট্রেডের পডℱ়ুয়ারা কেন বাড়তি সুবিধা পাবে না তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
প্রশ্নপত্রে কী বিভ্রাট ছিল?
পলিটেকনিকের ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনি🃏য়ারিংয়ের ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল পেপারটির ২ নম্বর প্রশ্ন ছিল শূন্যস্থান পূরণ করার। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য এক নম্বর বরাদ্দ ছিল। এরকম দশটি প্রশ্ন ছিল অর্থাৎ শূন্যস্থান পূরণের জন্য মোট ১০ নম্বর ছিল। তাতে দেখা যায় প্রশ্নের ঠিক নিচে বন্ধনীর মধ্যে সঠিক উত্তর যে বেছে নিতে হবে এরকমটি দেওয়া ছিল না। শুধুমাত্র সঠিক উত্তরই দেওয়া ছিল। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। একটি পলিটেকনিক কলেজের পরীক্ষায় এর আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল আর এবার প্রশ্ন বিভ্রাটের ঘটনায় অস্বস্তিতে সংসদ। এ বিষয়ে পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারী সংগঠনের নেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় জানান, যে কোনও পরীক্ষাতেই এই ধরনের ঘটনা ঠিক নয়। এর ফলে সঠিক মূল্যায়ন হয় না। এরকম হলে একটি বিভাগের ছাত্ররাও বাড়তি সুবিধা পায়। যদিও কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট নয় আধিকারিকদের কাছে। তবে এক শিক্ষকের কথায়, মডেল প্রশ🅠্নপত্র থেকে কপি করতে গিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ অনেক সময় মডেল প্রশ্নপত্রে সঠিক উত্তর দেওয়া থাকে।
অনেক শিক্ষকই এর জন্য নজরদারির অভাবকে দায়ী করেছেন। তবে এই বিষয়টি স♕ামনে আসার পরে অন্যান্য ট্রেডের পড়ুয়ারাও বাড🌳়তি সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। তাদের প্রশ্ন, শুধুমাত্র কেন একটি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা বিনা চেষ্টায় দশ নম্বর পেয়ে যাবে। তাহলে তাদেরকে সুবিধা দিতে হবে।