আদানি ঘুষ কাণ্ডে এবার বড় পদক্ষেপ করার পথে অন্ধ্রপ্রদেশের এনডিএ সরকার। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার এবার সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছে। যে চুক্তি নিয়ে এত বিবাদ, সেটি বাতিল করা সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে রয়টার্সের রিপোর্টে। উল্লেখ্য, আদানি নাকি ২২.৮ কোটি ডলার ঘুষ দিয়েছিল অন্ধ্রের আধিকারিকদের। অভিযোগ, অন্ধ্র ছাড়াও ওড়িশা, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি করতেও নাকি সেই সব রাজ্যের আধিকারিকদের ঘুষ দিয়েছিল আদানি। এর মধ্যে অন্ধ্রে যখন এই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে অভি💎যোগ উঠছে, তখন সেই রাজ্যে জগন্মোহ রেড্ডির সরকার ছিল। এই আবহে বিগত সরকারের সেই চুক্তি সংক্রন্ত নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন অন্ধ্রের বর্তমান অর্থমন্ত্রী পায়ুভুলা কেশব।
এদিকে ভারতীয় সরকারি আধিকারিদের ঘুষ দেওয়ার মামলায় ইতিমধ্💧যেই গৌতম আদানি ও সাগর আদানিকে তলব নোটিশ পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তাষ্ট্রের সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন। আমদাবাদে শান্তিবন ফার্মে গৌতম আদানির বাড়িতে এবং বোড়াকেভে সাগর আদানির বাড়িতে এই তলব নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ২৬.৫ কোটি ডলারের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া অভিযোগ উঠেছে আদানির বিরুদ্ধে। এই আবহে মার্কিন মুলুকে একটি মামলায় ভাইপো সহ অভিযুক্ত হয়েছেন ধনকুবের গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবসায়ীর। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচꦰেঞ্জ কমিশন।
আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল তারা। এরই মাধ্যমে আমেরিকা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে তারা টাকা তুলেছিল বাজার থেকে। দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৫ কোটির ডলারেরও বেশি ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সৌরশক্তি সরবরাহের লাভজনক চুক্তি পেয়েছিল আদানি। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর♑্জনের আশা করা হয়।
জানা গিয়েছে এই মামলায় গৌতম আদানির পাশাপাশি সাগর আদানি, আদানি গ্রি🐼ন এনার্জি লিমিটেডের নির্বাহী এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের নির্বাহী সিরিল কাবানেসকেও অভিযুক্ত করা হয়💞েছে। যদিও এই সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী। এই মামলা প্রসঙ্গে আদানির মুখপাত্র ইতিমধ্যেই বলেছেন, 'মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আদানি গ্রিনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন এবং আমরা তা অস্বীকার করছি। এমনিতেও সেই বিবৃতিতেই মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে - এই চার্জগুলি শুধু অভিযোগ মাত্র এবং অভিযুক্তকে ততক্ষণ নির্দোষ বলে গণ্য করা হবে যতক্ষণ না এই সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে।'