তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কট। লড়ার অর্থ নেই। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ আদালতে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। আদালতে সেই মামলার শুনানি হলেও জামিন পেলেন না। বি🌟চারক রঘুবীর সিং রায়দান স্থগিত রেখেছেন।
সোমবার আদালতে সুকন্যার আইনজীবী জানান, বর্তমানে দেউলিয়া তাঁর মক্কেল। এক প𝓡য়সাও হাতে নেই। মামলা লড়বেন কী করে? তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। বাবা ও তিনি জেলবন্দি। এই অবস্থায় মামলা লড়া রীতিমতো দায় হয়ে উঠেছে তাঁর কাছে।
(পড়তে পারেন। তদন্তের সূত্রে অভ🏅িষেকের নাম উঠে এসেছে, সুপ্রিম কোর্টে জানাল ED)
যদিও ইডি এই জামিনের বিরোধিতা করেছে। অনুব্রতর♕ হিসাররক্ষক মণীশ কোঠারির সূত্রে ধরে ইডি আদালতে বলে, গ꧒রু পাচারে আয় হওয়া কোটি কোট টাকা কোথায়, কী ভাবে বিনিয়োগ করা হবে তা ঠিক করত সুকন্যা। তাই তাঁর কোনও অর্থের সমস্যা নেই।
সেই সময় বিচারক জানতে চান, সুকন্যা তো প্রাথমিক স্কুলে কাজ করতেন, তিনি কি তাঁর বেতন পাচ্ছেন? এর উত্তরে আইনজীবী জানান, যেহেতু তাঁর সমস্ত অ্যাকাউন্ট 'এটাচ' করে রাখা হয়ে🐭ছে, তাই কী ভাবে🦂 তিনি টাকা জোগাড় করবেন।
প্রসঙ্গত এর আগেও সুকন্যা আদালতের কাছে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্ত⛦ু জামিন মেলেনি। আদালতের কাছে জানান, আত্মীয়-স্বজনরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। তিনি কার্যত কপর্দক শূন্য। হাতে টাকা না থ🌸াকায় তিনি আইনজীবীদের পর্যন্ত টাকা দিতে পারছেন না। তাই তাঁর ছমাসের জামিন দরকার।
আদালত ইড𓆉ির বক্তব্যও শুনতে চায়। তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানায়, সুকন্যার হাতেই দায়িত্ব ছিল কালো টাকা সাদা করার ভার। যেহেতু তিনি প্রভাবশালী । তাই জামিনে ছাড়া পেলে তিনি প্রভাব খাটাতে পারেন। এদিন মামলায় বিচারপতি কোন রায় দেননি। ফলে জামিন হয়নি সুকন্যা। আগাম🧸ী ১২ জুলাই মামলাটি শুনানি রয়েছে।
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে তৃণমূল নেত্রী সরব হন অনুব্রত ও তাঁর কন্যার গ্রেফতারি নিয়ে। তিনি বলেন, ‘কেষ্টকে ওরা গ্রেফতার করেছে। কেষ্টর মেয়েকেও গ্রেফতার করেছে। ওকে ছাড়ছে না। যাতে তৃণমূল করতে না পারে! দোষ করলে অন্যꦗায় করলে শাস্তি নিশ্চয়ই হবে।’