আর সে সোমালি দিন নেই। তাই আজ আর কেউ ভাইফোঁটা দেয় না। জেলে থাকলে সোনালি দিন থাকেও না। আজ ভাইফোঁটা। এই খুশির দিনে আসানসোল সংশোধনাগারে বসে পুরনো দিনের কথাই ভাবছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া ♍বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। আজ, বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার আয়োজন করেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। মধ্যাহ্নভোজে বন্দিদের জন্য হরেক পদের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। তবে কেষ্টকে কেউ ভাইফোঁটা দেয়নি। তবে হরেক খাবারে তিনি খুশি হয়👍েছেন।
ঠিক কী ঘটেছে আসানসোলের জেলে? আসানসোল সংশোধনাগার সূত্রে খবর, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বন্দিদের জন্য ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। এখানের ভিজিটার্স রুমে বন্দিদের অনেকেই ভাইফোঁটা নিয়েছেন তাঁদের বোনেদের কাছে। জেলবন্দি দাদা বা ভাইয়ের মুখে পায়েস, মিষ্টি তুলে দিতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু অনুব্রতকে কেউ ভাইফোঁটা দেননি বলেই জেল সূত্রে খবর। তবে মধ্যাহ্নভোজে 🦂বন্দিদের জন্য হরেকরক🍷মের পদ খেয়েছেন অনুব্রত।
কী ছিল কেষ্টর খাবার পাতে? সংশোধনাগার সূত্রে খবর, আজ ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে ছিল ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস, মিষ্টি, চাটনি, পাঁপড়, দই এবং রসগোল্লা। নিরামিষ খান যারা তাদের জন্য ছ🔯িল পনির। কালীপুজোর দিনও বি♚শেষ মেনু রাখা হয়েছিল। আজকের খাবার খেয়ে বেশ খুশি অনুব্রত মণ্ডল। লম্বা একখানা ঢেঁকুর তুলেছেন খাবার শেষে। বেশ কয়েকজন বন্দির 💛সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। সেখানে তিনি নিজের মনের সুখ–দুঃখের কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, আগে অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোনেরা ভাইফোঁটা দিতেন। তবে তাঁর মা এবং স্ত্রীবিয়োগের পর এই অনুষ্ঠানে ভাটা পড়ে। গত দু’বছর অনুব্রত কোনও ফোঁটা নেননি। আর এখন জেলে থাকায় সে সুযোগ নেই। তিনিও দূ✤র থেকে সব দেখেছেন। আর অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। ফ্রায়ে๊ড রাইস এবং মুরগির মাংস দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন তিনি। আবার পনির, চাটনি, পাঁপড় ও মিষ্টিও খেয়েছেন। এখন জেলে থেকে তাঁর ওজন কমে গিয়েছে।