কালীপুজোও অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে কাটাতে হবে। তেমনই আঁটঘাঁট বেঁধেছে সিবিআই। গ্রেফতারের ৫৭ দিনের মাথায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে তাঁকে ‘গরু পাচ𝕴ারের মূল কাণ্ডারী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বীরভূমের কেষ্ট। সিবিআই চার্জশিট নিয়ে তিনি নির্বিকার! দুর্ꦰগাপুজোয় পছন্দের মেনু হওয়ায় কবজি ডুবিয়ে ভুরিভোজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এবার আসছে কালীপুজো। কী থাকছে কেষ্টর মেনুতে? উঠছে প্রশ্ন।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? সংশোধনাগার সূত্রে খবর, কেষ্টর কোনও উৎকণ্ঠায় নেই। তাঁর বন্দিদশা কাটছে বহাল তবিয়ত🦩েই। প্রথমে জেলের হাসপাতালে নিজেকে আটকে রেখেছিলেন। এখন অন্যত্রও ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। জেলের অন্দরে বেড়ে উঠেছে তাঁর ‘ফ্যান–ফলোয়ার’। সর্বক্ষণের সঙ্গী কম করে ২০ জন বন্দি। এবার পুজোয় তাঁদের নতুন বস্ত্র দেওয়ারও উদ্যোগ নেন কেষ্ট। কিন্তু সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের চাপে সেই আশা পূরণ হয়নি। তবে, দুর্গোপুজোর মতোই এলাহি আয়োজন থাকছে কালীপুজোতেও।
কী থাকছে কালীপুজোর দিনের মেনু? জেলের এক কারারক্ষী সূত্রে খবর, ওইদিন রাতে জেলের মেনুতে থাকছে ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন।🐭 স🌼ঙ্গে থাকছে দু’রকম মিষ্টি। রাতে মাংস ভাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকী ভাইফোঁটার ব্যবস্থাও এখানে করা হচ্ছে। নিয়ম মেনে ফোঁটা দেওয়া যাবে অনুব্রত মণ্ডলকেও। ফলে সবমিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছেন কেষ্ট। এখন♒ অনুগামী বন্দিদের সঙ্গে হেসে কথা বলেন তꦏিনি। মনে জোগান সাহস। আর আস্থা রাখতে বলেন বিচারব্যবস্থার উপর।
কী বলছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ? এই বিষয়ে আসানসোল জেলা সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দী বলেন, ‘কালীপুজোর দিন বন্দিদের জন্য ফ্রায়েড রাইসের বন্দোবস্ত থাকছে। নিয়ম মেনে বন্দিদের ভাইফোঁটাও দেওয়া যাবে। তবে, কোনও অবস্থাতেই সংশোধনাগারের নিয়ম লঙ্ঘন করা যাবে না।’ এখানের বন্দিদের সিবিআই–ইডি জেরা করে। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, এসব নিয়ে কেষ্টর কোনও হেলদোল নেই। জেলের বেশ কয়েকজন বন্দি কেষ্টকে ‘বস’ বলে মেনে নিয়েছে। বসের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেদিকে সর্বꦉদা খেয়াল তাদের। কেষ্টর ব্যবহারে খুশি কয়েকজন ক🌼ারারক্ষীও। এভাবেই ফুরফুরে মেজাজ ধরে রেখেছেন কেষ্ট।