আজ বুধবার গরু পাচার মামলার শুনানি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। ঠিক তার আগের দিন মঙ্গলবার সিবিআই অফিসারের দীর্ঘ জেরার মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। সিবিআই অফিসাররা অনুব্রত মণ্ডলকে ২০টি প্রশ্ন করেন। আগেরবার সংশোধনাগারে জেরা পর্ব নিয়ে কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন সিবিআই অফিসাররা। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ হয়েছে। ভার্চুয়াল শুনানির যে 🧜আবেদন করা হয়েছিল সংশোধানাগারের পক্ষ থেকে সিবিআই আ✨দালতের বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন। সুতরাং আজ, বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতে সশরীরেই হাজিরা দিতে হবে অনুব্রতকে।
ঠিক কী হয়েছিল জেরা পর্বে? সূত্রের খবর, তাঁর সম্পত্তি নিয়ে আগেরবার প্রশ্ন করা হলে, কার্যত রোয়াব দেখিয়ে তাঁর অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছে জিজ্ঞাস🥂া করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তারপরই আসানসোল জেলা আদালতে ছ’জনের বাড়ির সার্চ ওয়ারেন্ট বের করে তল্লাশি করে কার্যত গোটা বীরভূমকে ব্যতিব্যস্ত করেছিল সিবিআই। অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট্যান্ট থেকে ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলার এবং ব্যবসায়ীও সেই তালিকায় ছিলেন। আর মঙ্গলবার সেই সার্চ থেকে পাওয়া বিস্তর তথ্য অনুব্রত মণ্ডলের সামনে এনে তা নিয়ে একের পর এক কঠিন প্রশ্ন করতে থাকেন তদন্তকারী অফিসার। তবে এবার বাদশাহী মেজাজ দেখাননি কেষ্ট। অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা তথ্য সম্প🌃র্কে তাঁর কিছু জানা নেই বলে জানিয়েছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? মঙ্গলবার আসানসোল সংশোধনাগারে সায়গল হোসেন এবং অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে আসেন তাঁরা। সিবিআই প্রতিনিধির এক সদস্য প্রথমে সায়♔গল এবং পরে অনুব্রতকে জিজ্♛ঞাসাবাদ শুরু করেন। অনুব্রতর কথা থেকে সিবিআই নতুন কোন সূত্র না পেলেও, তিনি যে এদিনের জেরা পর্বে সম্পূর্ণ অসহযোগিতা করেছেন, এমনটাও বলছে না সিবিআই। দীর্ঘ হেফাজত ভোগের পর কেষ্ট কী সিবিআইকে সাহায্যের পথে হাঁটতে চলেছেন? উঠছে প্রশ্ন। কেষ্ট সিবি🔥আইয়ের প্রতি কিছুটা সদয় হলেও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনই কেষ্টর প্রতি স🐓দয় হচ্ছে না।