সরকারি হাসপাতালে যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়টিকের ব্যবহার রুখতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের পক্ষ থেকে রাজ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য হাসপাতালগুলিকে এ ব্যাপারের রাশ টেনে যুক্তিযুক্ত ভাবে অ্যান্টিবায়টিক ব্যবহারের নির্দেশ দিল দফতর। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হাসপাতাল থেকে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ রোধে তাদের নিজস্ব কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে স্বা🍒স্থ্য দফতর।
অ্যান্টিবায়ꦏোটিক-সহ বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ সাধারণত ভাইরাস বা ফাংগাল (ছত্রাক) সংক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতর একটি সমীক্ষা দেখতে পেয়েছে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৬০ শতাংশ রোগীর শরীরে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে ওই ওযুধগুলি ব্꧂যবহারের কোনও কাজই হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন,'অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে শরীরে সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগীর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অ্যান্টিবায়টিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণে আমরা চাই হাসপাতাগুলির নিজস্ব নিয়ন্ত্রক কমিটি থাকুক।' (পড়তে পারেন। শহর জুড়ে লাল-সাদা চন্দন গাছ ဣলাগানোর পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের)
স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালগুলিকে বিশেষ সফটওয়্যার দিচ্ছে। যার মাধ্যমে রোগীর রক্ত, মূত্র ও অন্যান্য পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ও প্যাথোজেন সনাক্ত করা যাবে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতর তিন হাজার নমুনা সংগ্রহ করেছে🙈। আশঙ্কার বিষয় হল, তার মধ্যে ষাট শতাংশ নমুনার ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়টিক প্রতিরোধ ক্ষমতা পাওয়া গিয়েছে।