হাওড়ায় একই পরিবারের ৪ সদস্য খুনে চাঞ্চল্যকর বয়ান দিল ধৃত গৃহবধূ পল্লবী ঘোষ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছিল পল্লবীর ꩵস্বামী দেবরাজ ঘোষ মা, দাদা, বৌদি এবং ভাইঝিকে খুন করেছে। তবে পল্লবী ঘোষ নিজেই চার জনকে খুন করেছেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, তার বয়ানে কার্যত হতবাক পুলিশ কর্তারাও। পুলিশের কাছে ওই অভিযুক্ত মহিলা বলেছেন, ‘চারজনকে আমিই খুন ♏করেছি। আমি রেগে গেলে সবকিছু করতে পারি। নিজের স্বামী এমনকি নিজেকেও মেরে ফেলতে পারি।’
খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, সম্পত্তিগত বিবাꩵদ নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘জলের কল খোলা রাখা নিয়ে ভাসুর এবং জায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়। তারপর আমি দোতলায় ছেলেকে বন্꧋ধ করে কাটারি নিয়ে নিচে নামি এবং সবাইকে কুপিয়ে খুন করি।’ খুনের সময় তার স্বামী দেবরাজ ছিল না বলেই দাবি করেছেন ওই মহিলা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা বারবার জানতে চাচ্ছেন, ‘ওই চারজনই মারা গিয়েছে তো!’ আবার মাঝেমধ্যেই ওই মহিলা কেঁদে ফেলছেন এবং চিৎকার চেঁচামেচি করছেন।
গতকাল রাতে হাওড়ার এম সি ঘোষ লেনে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। পল্লবীর শাশুড়ি মাধবী ঘোষ, ভাসুর দেবাশিস ঘোষ, জা রেখা ঘোষ এবং দেবাশিসের ১৩ বছরের মেয়ে কৃষ্ণা ঘোষকে কুপিয়ে খুন করা হয়। তবে পল্লবী ঘোষ নিজেই খুনের দায় স্বীকার করলেও পুলিশের অনুমান, দেবাশিসকে কুপিয়ে খুন করে দেবরাজ ꦉএবং তার স্ত্রী। এরপর রেখাকে খুন করে। তাদের ১৩ বছরের মেয়ে কৃষ্ণা প্রতিবেশীদের চিৎকার চেঁচামেচি করে ডাকতে গেলে তাকেও খুন করে। ঘটনার পরেই সেখানে ছুটে 💫যান হাওড়ার পুলিশ কমিশনার এবং গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা। ঘটনার পর থেকে দেবরাজ এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।