‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমাগত এই ইস্যুতে চেপে ধরছে বিজেপিকে। এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বিজেপিই ভোটার তালিকায় ঢুকিয়েছে বলে অভিযোগ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আ🎶র তারপরই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরতে নির্দেশ দেন তিনি। তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিজের ওয়ার্ডের ‘ভূতুড়ে ভোটার’ খুঁজতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের। কারণ এখানে বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের এক নেত্রীর নাম দুটি বুথে রয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী দুই ভোটারের নাম আসানসোলের পাশাপাশি কর্ণাটক রাজ্যেও নাম রয়েছে।
আজ, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরার অভিযোগ তুললেন আসানসোল প༺ৌরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অশোক রুদ্র। এদিন আসানসোল পৌরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন, ‘আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা তথা পৌরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের নেত্রী নাজনিন সাবিহার নাম একই ওয়ার্ডে দুটি বুথে রয়েছে। তার পাশাপাশি এই ওয়ার্ডে দু’জন ভোটারের নাম রয়েছে দুই রাজ্যে। তাদের কর্ণাটক রাজ্যের দুটি বিধানসভাতেও নাম রয়েছে।’ এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে আসানসোলে ঢি–ঢি পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় মিছিলের জন্য লোক আনা হয়েছে’, শুভেন্দুকে খোঁচা কুণালের
ইতিমধ্যেই এই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে নয়াদিল্লিতে চাপ বাড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। আগামী মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এসপার–ওসপার চাইবেন। তার মধ্যে একই এপিক নম্বরে দু’জন বা তার বেশি ভোটার থাকার যে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলেছিলেন তা মেনে নিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। তবে তাঁদের ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বলা যাবে না বলে জানিয়ে দেন নির্বাচন কমিশন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর চালু করতে হবে এপিক কার্ডে। সেই দাবি মেনে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপিও যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।