এবার গরু পাচারকাণ্ডে আসানসোল সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দীকে দিল্লি তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, কৃপাময়কে আগামী ৫ এপ্রিল তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ আসতে বলেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমে জেল সুপার দাবি করেন, ৫ এপ্রিল তাঁকে ঠিক কী কারণে তলব করা হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই। জানা গিয়েছে, গরু পাচার কাণ্ডে এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর এককালের দেহরক্ষী সয়গল হোসেন, সকলেই এই আসানসোল জেলেই ছিলেন। এবং তাঁদের কারাবাসের সময় সংশোধানাগের সুপার থেকেছেন কৃপাময়। এই আবহে ইডি তাঁকে তলব করায় তৈরি হয়েছে জল্পনা। (আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতার মামলা প꧃িছিয়ে ▨গিয়ে শাপে বর হয়েছে ডিএ আন্দোলনকারীদের)
গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন আসানসোল জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অভিযোগ, এই সময় জেল থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিতেন কেষ্ট। নিজের জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর ন💧জর রাখতেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি দিল্লিত✃ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা আটকাতে অবশ্য অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নিজে বলেছিলেন, 'পঞ্চায়েত আসছে বলে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে।' মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলেছিলেন, 'এর থেকেই স্পষ্ট যে অনুব্রত জেলে বসেই দলের কাজ করছিলেন।' আর এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার ইডি তলব করল আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে।
আরও পড়ুন: বড় 'জয়' দিল্লির, ভারতকে চট্টগ্রাম ও সিলেট🐎 বন্দর ব্যবহার করতে দেবে হাসিনা সরকার
জানা গিয়েছে, এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল, সয়গল হোসেনের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে আসত, তা জানতে চাওয়া হতে পারে জেল সুপারের থেকে। এদিকে অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধানাগারে ছিলেন, তখন বেশ কিছু বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, দিল্লি যাত্রার অনুব্রতকে আগে কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল জেল কর🍬্তৃপক্ষের ওপর। সেই সময় কচুরির দোকানে জেলবন্দি অনুব্রত দিব্যি বসে তৃণমূলের এক যুবনেতা এবং মেনে সুকন্যার গাড়ির চালকের সঙ্গে 'বৈঠক' করেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। অনুব্রতের সঙ্গে এই দুই ব্যক্তির সাক্ষাতের ঘটনায় জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার খোদ জেল সুপারকেই দিল্লিতে তলব ইডির। যা নিয়ে জল্পনা তৈর🌠ি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।