একাদশ শ্রেণিতে ভরতি প্রক্রিয়ার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ শতাংশ শিক্ষককে রোজ স্কুলে যেতে হবে। অশিক্ষক কর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্ষদের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, মাধ্যমি🅷কের মার্কশিট ও সার্টিফিকেট বিতরণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ শিক্ষক এবং༒ অশিক্ষক কর্মীকে স্কুলে যেতে হবে। যতদিন একাদশ শ্রেণির ভরতি প্রক্রিয়া চলবে, ততদিনও সেই নিয়ম জারি থাকবে। সেইমতো সংশ্লষ্ট স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের রোস্টার তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে সেই নির্দেশ অমান্য করা হলে পর্ষদকে জানাতে বলা হয়েছে। তবে যে শিক্ষকদের বাড়ি কনটেনমেন্ট জোনে তাঁদের হাজিরার ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।
যদিও সেই নির্দেশিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ শিক্ষক মহলের একাংশ। শিক্ষকদের বক্তব্য, করোনাভাইরাসের প্রকোপ এমনিতেই বেড়েছে। তার মধ্যে সপ্তাহে দু'দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে। সেই 🦹পরিস্থিতিতে স্কুলে আসার নির্দেশিকা অমানবিক। তাও এক বা দু'দিন নয়, ১ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত স্কুলে যেতে হবে। কারণ একমাস ধরে ভরতি প্রক্রিয়া চলবে। তাঁদের বক্তব্য, এতজন শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত থাকলে সুরক্ষাবিধি মানা যাবে তো! যদিও পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলে যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। একইসঙ্গে যে শিক্ষকরা দূরে থাকেন, তাঁরা কীভাবে স্কুলে আসবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
একই বক্তব্য মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতিরও। বিকল্প উপায় হিসেবে সমিতির তরফে জান🎃ানো হয়েছে, স্কুলের নিকটে থাকা শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক যেভাবে মিড ডে মিল দিয়েছিলেন, একই কায়দায় মাধ্যমিক মার্কশিট দেওয়া হোক। সেভাবেই একাদশ শ্রেণির ভরতি প্রক্রিয়া চালানোর সওয়াল করা হয়েছে। তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
যদিও পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বক্তব্য, লকডাউনে অনেক সরকারি-বেসরকারি কর্মী অফিস যাচ🍎্ছেন। পড়ুয়াদের স্বার্থের বিষয়ে বিবেচনা করে শিক্ষকরাও সেই দায়িত্ব পালন করবেন ꩵবলে জানিয়েছে সমিতি।