আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর প্রতিবাদী মানুষের ভিড়ে বারবার রাজপথ অবরুদ্ধ হয়েছে। কাতারে কাতারে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রাজপথে নেমౠেছে। বাদ যায়নি মহিলারাও। জুনিয়র ডাক্তারদের তীব্র আন্দোলনে বারবার আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। প্রশাসনকে নমনীয় হতে হয়েছে। কারণ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় নাম🗹 উঠে আসে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল আউশগ্রামের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।
এদিকে এতকিছুর পরেও অপরাধের প্রবণতা যে এতটুকুও কমেনি তার প্রমাণ মিলেছে বারবার। আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ডে সঞ্জয় রায় গ্রেফতার হবার পর সিভিক ভলান্টিয়ারের দিকে আঙুল উঠেছিল। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছিলেন, বারবার তাদের প্রশাসনের সব কাজে যুক্ত করা হয় কেন? এবার আবারও সিভিক ভলান্টিয়ারের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠল। স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেরেণ্ডা গ্রামে দুটি পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়। তার জেরে গ্রামের কজন মিলে সালিশি সভা বসান। ওই গ্রামের বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ার রহমতুল্লাহ শেখ। খবর পেয়ে তিনি গ্রামে জানান, পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও সালিশি সভা করা যাবে না। রহমতুল্লাহ তার পর ন𒁃িজের কাজে চলে যান। রাতে স্থানীয় আদিবাসী এক গৃহবধূ আউশগ্রাম থানায় গিয়ে রহমতুল্লা শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
আরও পড়ুন: ‘১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে’, জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের
অন্যদিকে আউশগ্রাম থানার অন্তর্গত বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের নিপতি গ্রামে আদিবাসী বধূকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে আউশগ্রাম থানার পুলিশ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে শুক্রবার মাঝরাতে। আদিবাসী গৃহবধূর অ🐭ভিযোগ, রহমতুল্লা শেখ আগে থেকেই তাঁকে কুনজরে দেখত। শুক্রবার বাড়িতে যখন কেউ ছিলেন না তখন উনি উঠোনে তক্তার উপর শুয়ে ছিলেন। আর তখনই একা থাকার সুযোগে রহমতুল্লা তাঁর শ্লীলতাহানি করে। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এছাড়া আজ, শনিবার ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বর⛄্ধমান জেলা আদালতে পাঠানোর আ♛গে শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য বন নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন বর্ধমান আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তকে। এখন দেখার কি রায় দেয় বিচারক। এই গুণধর সিভিক ভলান্টিয়ারের ক্ষেত্রে কোন দিকে রায় যায় সেদিকে তাকিয়ে আছেন সবাই। যদিও ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাবি, ওই পাড়ায় বেআইনি চোলাই মদের কারবার চলে। নিষেধ করার পর বচসা হয়। তারপর মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।