আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয় বাংলা। জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি করতে থাকেন। যা আপাতত উঠেছে। আর এই কর্মবিরতি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দিয়েছেন তৃণ⭕মূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলে অভিযোগ। আর তাই চিকিৎসক সংগঠন ও জুনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের আবার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল। এবার হুমায়ুন কবীরের হুঁশিয়ারি, ‘ওদের যেমন আন্দোলন করার অধিকার আছে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসেরও ৩ কোটি ভোটার আছে। ১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে।’
দুর♏্গাপুজোর পরে আবার আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ এখনও সব দাবি পূরণ হয়নি। তার মধ্যে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তাই তাঁরা আজ, শনিবার কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এই বিষয়ে হুমায়ুনের বক্তব্য, ‘ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভগবান বলা হয়। তাঁরা সিগারেট নিয়ে নাচানাচি করছেন, ঢাকঢোল বাজাচ্ছেন। এটা কি চ্যাংড়ামো নয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধী দলগুলি এক হয়ে নোংরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার জুনিয়র ডাক্তাররা। যাঁরা আন্দোলনের নামে অসভ্যতা শুরু করেছেন। সংখ্যায় বিচার করলে দেখা যাবে জুনিয়র ডাক্তাররা সারা রাজ্যে মাত্র সাড়ে সাত হাজার। আমরা তিন কোটি তৃণমূল কর্মী। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করব। হাসপাতাল ঘেরাও করব।’
আরও পড়ুন: সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, কাজে ফেরার বার্তার পরও বিক্ষোভ
বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগেও চিকিৎসকদের আন্দোলনের সমালোচনা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরেও ভরতপুরের বিধায়ক তাঁর অবস্থান থেকে সরছেন না। হুমায়ুন বলেছিলেন, ‘আমি যে কথা বলেছিলাম, আমি তাতেই আছি। আমার বক্তব্য একই থাকছে। আন্দোলন করতে হলে সরকারি জায়গা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আন্দোলন করুক। সরকারের খাব, এসিতে ঘুমোব আর সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলব, আমি মানতে পারছি না।’ তবে রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত করে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ‘চ্যাংড়ামো’ বলে সম্বোধন করেছেন বিধায়ক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয়ꦑ সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, চিকিৎসক তথা নাগরিক সমাজের আন্দোলন নিয়ে ‘কুকথা’ বলা যাবে না। কিন্তু তারপরও হুমায়ুন কবীর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে তোপ দেগেই চলেছেন। এই আবহে হুমায়ুন প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব সরকারের কথায়, ‘হুমায়ুন কী বলেছেন সেটা আমি জানি না। দলের অবস্থান শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কিছু বললে তার দায় দল নেবে না।’