তিহাড় থেকে ফিরে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তিনি𝐆 বীরভূমে ফেরার পর থেকেই এখন তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, বীরভূমে তৃণমূলের রাশ কার হাত থাকবে?
সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে এবার অনুব্রত ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অনুগামীদের মধ্য়ে কা💛র্যালয় দখলকে ঘিরে লড়াই তুঙ্গে।
আসলে বোলপুরে টিএমসির য𓆉ে অফিসটি রয়েছে সেটা চন্দ্রনাথ সিনহার অফিস বলেই পরিচিত। এতদিন অনুব্রত যখন জেলে ছিলেন তখন সেখানে চন্দ্রনাথেরই আধিপত্য ছিল। এদিকে সেই অফিসই এবার দখলে নেওয়ার চেষ্টা কেষ্ট অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরে অস্বস্তি চরমে। প্রসঙ্গত অনুব্রত যখন জেল থেকে ফিরে বীরভূমে এসেছিলেন তখন একাধিক তৃণমূল নেতা, জনপ্রতিনিধি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দরজা থেকে ফিরতে হয়েছিল অনেককেই। সেদিনই বোঝা গিয়েছিল জেলে থাকলেও জেলার খবর সব যেত কেষ্ট মণ্ডলের কাছে।
এদিকে এবার চন্দ্রনাথের কার্যালয়ের দখলের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে। তবে গোটা বিষয়টিকে একেবারে এখনই মিটে যাবে এমনটা নয়। এমনই মনে করছেন অনেকেই। কার্যত কার ক্ষমতা বেশি তা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া ল🌊ড়াই। সেই লড়াইয়ের কেন্দ্র বিন্দুতে এখন যুযুধান দুই নেতা। তবে তাঁদেꦕর প্রতিক্রিয় মেলেনি।
এদিকে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দেখা গিয়েছিল, সকাল থেকে হত্যে দিয়েও অনুব্রতের বাড়িতে ঢুকতেই পারেননি রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে ফিরে যান বীরভূম জেলা কোর কমিটির দুই♚ হেভিওয়েট সদস্য। যদিও অনুব্রতের বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাখানেক কাটান বীরভূম জেলা কোর কমিটির অপর এক সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ। সূত্রের খবর, অনুব্রতের সঙ্গে সুদীপ্তের কথাও হয়েছে। আর সেই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তাহলে কি চন্দ্রনাথদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কেষ্টর? নাকি নেহাতই বিষয়টি কাকতলীয়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
সেদিন অনুব্রত বাড়ি ফিরলেই ত🦩াঁর সঙ্গে দেখা করবেন বলে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন চন্দ্রনাথ এবং বিকাশ। কিন্তু কাউকেই সময় দেননি কেষ্ট মণ্ডল। শুধু তাই নয়, অনুব্রতের বাড়িতেও ঢুকতে পারেননি তারা। এবার সেই চন্দ্রনাথ সিনহার অফিসে গিয়ে তা দখলের চেষ্টার অভিযোগ অনুব্রত অনুগামীদের বিরুদ্ধে। কার্যত দাদা ইস ব্যাক। সেটাই বোঝাতে চাইছেন অনুগামীদের একাংশ।