টেস্ট পেপার𒀰ে ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দবন্ধনী ব্যবহার করা হওয়ায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এমনই আশ্বাস দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। সেইসঙ্গে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই প্রশ্নটি খতিয়ে দেখা হবে।
মাধ্যমিকের আগে পর্ষদের তরফে যে টেস্ট পেপার প্রকাশিত হয়𝔉েছে, তাতে ১৩২ নম্বর পৃষ্ঠায় থাকা ‘আজাদ কাশ্মীর’ শব্দবন্ধনী নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। মালদার একটি স্কুলের ইতিহাসের প্রশ্নের উপবিভাগ ২.৪-র আওতায় সেই শব্দব🦋ন্ধনী ব্যবহার করা হয়েছে। ওই উপবিভাগের প্রশ্নে বলা হয়েছে, 'প্রদত্ত ভারতবর্ষের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত ও নামাঙ্কিত করো।' তাতে প্রথমেই ২.৪.১-র আওতায় ‘আজাদ কাশ্মীর’ লেখা আছে।
ওই প্রশ্ন নিয়েই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভা꧒পতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'এটা যখন নজরে এসেছে, আমরা পুরো বিষয়টা জানার চেষ্টা করছি। জেনে নিয়ে (বাকি পদক্ষেপ করব)। যদি আমরা সংশোধন করতে পারি, তাহলে সংশোধন করব। নাহলে প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো যাবে।' সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যেটাই হোক না কেন, তা সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2023: এবার মাধ্যমিকের রেজꦕাল্ট প্রকাশের দিনেই ফল পাবেন না এই প্রার্থীরা, জানাল পর্ষদ
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পর্ষদের সভাপতি বলেছেন যে 'যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, তাঁরা কেন এরকম প্রশ্ন রেখেছেন, তা আমরা জানি না। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখ🤡ব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।' যদিও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রাত্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
'আজাদ কাশ্মীর' নিয়ে বিতর্ক কেন? কাশ্মীরের একটি অংশকে 'আজাܫদ কাশ্মীর' হিসেবে দাবি করে পাকিস্তান। যে এলাকাকে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর বলে বরাবর চিহ্নিত করে এসেছে ভারত। ওই এলাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে।
শুরু রাজনৈতিক তরজা
তারইমধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাঁকুড়ার বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকার দ🍒াবি করেছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্যস্তরে তদন্ত করা উচিত। এই বিষয়টি একেবারেই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন, যদি ঘটনাটি সত্যি হয়, তাহলে বলা যায় যে 'তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের তুষ্টিকরণ রাজনীতির কারণে কিছু মানুষকে টেস্ট পেপারে এরকম দেশবিরোধী প্রশ্ন রাখতে মদত জুগিয়েছে।' একইসুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক হল মমতার সরকার। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্ম🌠ীরকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের। রাজ্য সরকার শুধু জঙ্গিদের মদত জোগায় না, তরুণ পড়ুয়াদের মধ্যে ভারত-বিরোধী মনোভাব তৈরি করে দিচ্ছে।'
যদিও বিজেপির ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚঅভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'কেউ যদি এরকম কোনও প্রশ্ন করেন, তাহলে ভুল কাজ করেছেন। আমরা এরকম কাজের সমর্থন করি না। তৃণমূল কংগ্রেস পুরোপুরি ধর্মনিরপেক্ষ দল। আমরা কো⭕নও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের তুষ্টিকরণে বিশ্বাস করি না।'