লোকসভা নির্বাচনে গোটা বাংলায় ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তারপরও দেখা গিয়েছে, দলের অন্দরে ‘বিভীষণদের’ খুঁজছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর সেটা শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জেলা থেকে। এখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার হেরে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে হেরেছেন। কিন্তু বিভীষণদের রেয়াত করা হবে না। এই কথা আ🌸গেই জানান জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার শুরু হল সেই কাজ। লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের সঙ্গে যোগসাজশ করার অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ার সিমলাপালꦏ, পার্শ্বলা এবং কেঞ্জাকুড়া অঞ্চলের দায়িত্ব থাকা অঞ্চল সভাপতিদের সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্রে জোরদার লড়াই হয়েছে। আর ৩৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু জয়ের পরেও ভোটের ফল নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়। যে এলাকাগুলি থেকে ভাল ফল আশা করা হয়েছিল সেটা হয়নি। তখনই বিভীষণ কারা? তা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়। যে বুথগুলিতে পরাজয় হয়েছে সেগুলির কারণ বিশ্লেষণ করতে বসেন নেতারা꧃। তখনই বিভীষণদের তত্ত্ব উঠে আসে। বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। এই জয়ের পর তিনি বলেন, ‘দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে দল।’
আরও পড়ুন: যাত্রীদের জন্য সুꦕখবর, হাবড়া থেকে মেদিনীপ🌜ুর যাত্রায় বাসের সংখ্যা বাড়াল পরিবহণ নিগম
এরপর শুরু হয় বিভীষণ খোঁজার কাজ। আর তারপরই সিমলাপাল, পার্শ্বলা এবং কে🐽ঞ্জাকুড়া অঞ্চলের তিনজন সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, গত ৫ জুলাই বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস একটি নির্দেশিকা জারি করে। তাতে বলা হয়েছে, বিরোধী দলকে সমর্থন করা এবং প্রত্যক্ষ যোগসাজশ থাকায় পার্শ্বলা অঞ্চলের সভাপতি বিবেকানন্দ সিং মহাপাত্র, সিমলাপাল অঞ্চলের সভাপতি দেবাশিস গুলি এবং কেঞ্জাকুড়া অঞ্চলের সভাপতি রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়কে তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘তিন অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। যাঁদের বিরুদ্ধেই এমন প্রমাণ মিলবে, তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’
কিন্তু এই বিভীষণের তকমা নিতে নারাজ এই তিন নেতা। তাই কেঞ্জাকুড়ার অঞ্চল সভাপতি রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘আমি ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করে আসছি। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবেসে তৃণমূল কংগ্রেস করি। আমি কোনও দলবিরোধী কাজ করিনি। আমার বুথে তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। তার পরেও এমন ঘটল। আজীবন আমি তৃণমূল কংগ্রেস করে যাব।’ আর ব🦩িজেপি বাঁকুড়া আসন হেরে গিয়েও এই নিয়ে জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল কথায়, ‘তৃণমূল যেখানে ভোট কম পেয়েছে, সেখানে নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে দলেরই নিচুতলার কর্মীদের বলির পাঁঠা করছে।’