শিক্ষা দুর্নীতির ধাঁচে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার হাতে এল OMR শিট কারচুপির প্রমাণ। OMR শিটে প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বরাহনগর পুরসভার বিরুদ্ধে। সুমন চৌধুরী নামে এক চাকরিপ্রার্থীর OMR শিট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষায় তিনি ১৯ পেলেও মেধাতালিকায় তা বেড়ে হয়েছে ৩১। এমনকী সেই তালিকায় সই রয়েছে পুরপ্রধানের।রাজ্যের প্রায় ২ ডজন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে সিবিআই ও ED. জেরার মুখে পড়েছেন পুরসভাসভাগুলির আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। এরই মধ্যে বরানগর পুরসভায় নিয়োগে উঠে এল OMR কারচুপির অভিযোগ। ঠিক শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির ধাঁচে OMR শিটের নম্বর বেড়ে গেল মেধাতালিকায়।প্রকাশ্যে আসা OMR শিট অনুসারে, ২০১৩ সালের ১২ অগাস্ট বরানগর পুরসভায় মজদুর পদের জন্য লিখিত পরীক্ষা হয়। সেই পরীক্ষায় বসেছিলেন সুমন চৌধুরী নামে এক যুবক। প্রশ্নপত্রে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ১৯ নম্বর পান তিনি। সেই OMR শিটে অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের সিল ও তার আধিকারিকের সই রয়েছে। কিন্তু মেধাতালিকায় দেখা যায় তিনি পেয়েছেন ৩১। সেই তালিকায় আবার পুরপ্রধানের সই রয়েছে পুরপ্রধানের। পাশে এ-ও লেখা রয়েছে, OMR শিটে তিনি ১৯ পেয়েছেন।তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ওই সময় পর পর ২ বার বরানগর পুরসভার নিয়োগপ্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব পায় অয়ন শীলের সংস্থা। আশ্চর্যজনকভাবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলিতে যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের প্রায় সবাই মালদা বা মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। এমনকী যে দিন মজদুর পদের পরীক্ষা হয়েছিল সেদিন একই সময় অন্য একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুরসভায় করণিক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ২টি পদের জন্যই নিয়োগপত্র পেয়েছেন এমন প্রার্থীরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ওএমআর শিট প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বেপাত্তা বরানগর পুরসভার পুরপ্রধান অপর্ণা মৌলিক।