মুখ ঢেকে এক যুবতী ব্যারাকপুর মহিলা থানায় ঢুকলেন। এটা চোখে পড়তেই ওখানে উপস্থিত অনেকে চর্চা শুরু করলেন, কিছু ঘটেছে মনে হয়। না হলে মেয়েটি মুখ ঢেকে থানায় ঢুকল কেন? যাঁরা এই চর্চা করছি🀅লেন তাঁদের অনুমান ঠিকই ছিল। কিছু তো ঘটেছে বটেই। তবে যেটা ঘটেছে সেটা আন্দাজ করতে পারেননি ব্যারাকপুর মহিলা থানার বাইরের মানুষজন। ওই যুবতী মহিলা থানায় গিয়ে যে মারাত্মক অভিযোগ দায়ের করলেন সেটা জেলার মধ্যে একটা বড় খবর হয়ে দাঁড়াল। আর তাতে জড়িয়ে পড়লেন স্বয়ং কাউন্সিলর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। কানাঘুষো নানা কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আসল ঘটনাটি হচ্ছে, কাউন্সিলর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে 🌜এক যুবতীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
পরিচয় হওয়ার পর থেকে ওই কাউন্সিলর যুবতীকে মেসেজ পাঠাতে থাকতেন বলে অভিযোগ। সেই থেকেই দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। কাউন্𒆙সিলর দেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি। তার সঙ্গে নানা প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার নানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে সহবাস করেন বলে অভিযোগ। এভাবেই কেটে যায় আড়াই বছর। তারপরও বিয়ে করেননি ওই কাউন্সিলর। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশের দুয়ারে যান যুবতী। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দায়ের করেন যুবতী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন পানিহাটির ওই যুবতী। ব্যারাকপুর মহিলা থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: রথ–মহরম নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পুলিশ কর💃্তারা, অশান্তি এড়াত☂ে একাধিক পদক্ষেপ
এই খবর চাউর হতেই ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে হানা দেন পুলিশ থেকে স্থানীয় অনেক মানুষজন। সংবাদমাধ্যমও হাজির হয়। আর ওই কাউন্সিলরের বাবা বলছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। ওই যুবতী মানসিক রোগী বলে অভিযোগ তাঁর। কিন্তু তাঁর ছেলে এখন গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারী ওই যুবতী বলেন, ‘ও আগে থেকে আমাকে নোংরা মেসেজ পাঠাত। পরে ওকে আমি মেনে নিই। সম্পর্কও ঘন꧃িষ্ঠ হয়। তবে আমি ওর কোনও সম্পর্ক আছে কিনা জানতাম না। বরং জিজ্ঞেস করলে বলত, কোনও সম্পর্ক নেই। কিছুদিন আগে আম𓆉ি জানতে পারি ওর তিনটে বিয়ে। যা আমার কাছে অস্বীকার করেছিল। আমাকে আড়াই বছর ধরে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমি থানায় তাই অভিযোগ জানিয়েছি।’
এই ঘটনা কতটা সত্যি বা মিথ্যে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কিন্তু এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় পুরসভার বদনা𝓀ম হচ্ছে। এই বিষয়ে উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষের বক্তব্য, ‘অভিযোগ যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে দোষীকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। আইন আইনের পথেই চলবে। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের শাস্তি হবেই।’ আর নির্যাতিতা যুবতীর কথায়, ‘যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাঁর একাধিক বিয়েও রয়েছে।’ সূত্রের খবর, এই অভিযোগ নিয়ে আলোড়ন শুরু হতেই এলাকা থেকে চম্পট দ💙িয়েছেন ওই কাউন্সিলর বলে অভিযোগ।